নবজাগরণ ডেস্ক:
গোপালগঞ্জ-যেখানে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রতিরোধ, চাঁদাবাজি আর দখলদারিত্বের নামে মানুষের কণ্ঠরোধ করা হতো, সেই শহর আজ নতুন করে জেগে উঠেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃবৃন্দ হাসনাত ও সারজিসের নেতৃত্বে গোপালগঞ্জের হারানো গণমঞ্চ, জনতার কণ্ঠস্বরে আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। স্লোগানে মুখরিত রাজপথ-“গণতন্ত্র মানে জনগণের রাজত্ব, গোপালগঞ্জ কারো বাপের জমিদারি নয়!”-এই প্রতিবাদ এখন কেবল প্রতীক নয়, বরং তা এক ঐতিহাসিক মোড়।
প্রতীকী পুনর্দখল নয়, এটি এক রাজনৈতিক দাবি পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই
হাসনাতের স্লোগান শুধু কণ্ঠস্বর নয়, এটা জনতার দীর্ঘশ্বাসের প্রতিধ্বনি। এটা এক রুখে দাঁড়ানোর ঘোষণা। “আমরা কারো পা-চাটা হবো না! গোপালগঞ্জের মানুষ আর ভয় পায় না!”-এই স্লোগান রাজপথে যখন গর্জে উঠেছে, তখন তা স্পষ্ট করে দিয়েছে, এনসিপি আজ আর কোনো প্রতীকী দল নয়, এটা জনতার সংগঠিত শক্তির নাম।
কে হাসনাত? কেন তার কণ্ঠে মানুষ ভরসা খুঁজে পায়?
হাসনাত এক সময়ের ছাত্রনেতা, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সরব কণ্ঠস্বর এবং বর্তমানে গোপালগঞ্জে এনসিপির মূল সংগঠক। তার ভাষণ-“ভয়ের দিন শেষ। চাঁদাবাজদের হিসাব এখন গোপালগঞ্জেই হবে।”-গণমানুষের ভিতরে সাহস জাগিয়েছে। তাকে ঘিরে মানুষের জমায়েত, বয়স্কদের কান্না, তরুণদের রক্ত গরম স্লোগান, এক কথায়-নবজাগরণ!
সারজিসের পুনরুদ্ধার কৌশল:এক রাজনৈতিক পাল্টা চিত্রনাট্য!
সারজিস, এনসিপির জেলা পর্যায়ের তুখোড় সংগঠক, মাঠ পর্যায়ে শত বাধা সত্ত্বেও যিনি ৭ দিন আগে সমাবেশ স্থলের দখল পুনঃপ্রতিষ্ঠার রূপরেখা তৈরি করেন। তিনি বলেন-“আমরা সমাবেশ করবোই, যেকোনো মূল্যে।” এবং সত্যিই তাই হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও শাসকদলের বাধা সত্ত্বেও জনতার ঢল ঠেকাতে পারেনি কেউ।
ভিডিওর তাৎপর্য: স্মার্ট রাজনৈতিক মিডিয়া যুদ্ধের উদাহরণ
ভিডিও ফুটেজে হাসনাতের কণ্ঠে যখন শোনা যায়-“এই যে আমি হাসনাত বলছি, এখন থেকে এই গোপালগঞ্জ কোনো চাঁদাবাজের দখলে থাকবে না। জনগণ ফিরেছে, ইতিহাস ফিরেছে।”-তখন তা শুধু একটি বক্তৃতা নয়, এটা এক স্মার্ট রাজনৈতিক মিডিয়া যুদ্ধের জবাব।
এই ভিডিওটি এখন ছড়িয়ে পড়ছে ফেসবুকে, টিকটকে, হোয়াটসঅ্যাপে। এক নতুন প্রজন্ম বলছে, “হাসনাত ভাইয়ের কণ্ঠে সাহস পাই, ঐতিহ্য পাই।” এটা বাংলার রাজনীতিতে পুনরুদ্ধারবাদী এক নতুন ধারার উত্থান।
রাজনীতির চাঁদাবাজ বনাম জনগণের এনসিপি: এই সংঘাত অনিবার্য
এনসিপি আজ রাজনীতির প্রথাগত সুবিধাভোগী শ্রেণীর মুখোশ খুলে দিচ্ছে। এ দল বলছে-“সাধারণ মানুষকে রাজনীতির কেন্দ্রে আনো। তাদের চা-দোকান, খেতখামার, কলেজ-বাস-সবই হোক রাজনীতির স্কুল।” এমন স্লোগান শুনে শাসকেরা কাঁপে, কারণ এ বিপ্লব নেতা নয়,নীতি-ভিত্তিক।
গোপালগঞ্জে আগুন জ্বলে উঠেছে,এখন শুধু তা ছড়িয়ে পড়ার অপেক্ষা
হাসনাত ও সারজিসের পুনর্দখল অভিযান প্রমাণ করল-বাংলাদেশে এখনও রাজনীতি আদর্শের নামে জাগতে পারে, ভয়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে, নবজাগরণ ঘটাতে পারে। এটি নিছক একটি সমাবেশ নয়, বরং এটি নতুন বাংলাদেশের মহড়া।
“এই যে আমি হাসনাত বলছি…”-গোপালগঞ্জে এনসিপির পুনরুদ্ধার অভিযান ”
বিস্তারিত জানতে পড়ুন শেয়ার করুন সবাই :
www.thenabajagaran.com