শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, কাজের মাধ্যমেই যিনি প্রমাণ করেন মানবতা-লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ
নবজাগরণ রিপোর্ট:১৭ জুলাই ২০২৫
মানুষ কীভাবে মহান হয়? শুধু কথায় নয়,বরং নিরবিচারে কাজ করে। রাজনীতি, জনপ্রিয়তা কিংবা মিডিয়ার আলো নয়-তাঁর আলো আসে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর নীরব কাজ থেকে। ঠিক তেমনই একজন মানুষ লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ, যিনি একদিকে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী, অন্যদিকে মানবতার একজন পরিশ্রুত সৈনিক।
মানবতার নাম ‘সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশন’
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মানিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবারের সকালটা ছিল ভিন্নরকম। কোনো সরকারী বরাদ্দ নয়, কোনো রাজনৈতিক প্রভাব নয়-সরাসরি জনগণের একজন অভিভাবকের উদার হৃদয় থেকে উৎসারিত ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই স্কুল প্রাঙ্গণে।
‘সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশন’ কর্তৃক শতাধিক গরীব ও অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন স্কুল ড্রেস বিতরণ করা হয়েছে,যা নিছক এক কাপড় নয়-বরং স্বপ্নে ভর করে এগিয়ে চলা এক নতুন আলোর প্রতীক।
একটি উদ্যোগের জন্ম,এক অভিভাবকের দায়িত্ববোধে
ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ মানবিক। বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক লক্ষ্য করেন, অনেক শিক্ষার্থীর পরনে নেই একরকম ড্রেস-কেউ পুরাতন, কেউ ভিন্ন রঙের কাপড় পরে ক্লাসে আসে। এ বৈষম্য শিক্ষার্থীদের মনোজগতে যে কী ধরনের প্রভাব ফেলে, তা ভাবলে শিউরে উঠতে হয়। বিষয়টি যখন তিনি জনাব লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ-এর দৃষ্টিতে আনেন, তখনই শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়।
তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা দেন: “স্কুলের সব শিক্ষার্থী যাতে একই ও নতুন ড্রেস পরে স্কুলে আসতে পারে, তার ব্যবস্থা আমি করছি।”
কথা নয়,কাজই প্রমাণ
মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে ড্রেস তৈরি, সাইজ অনুযায়ী প্রস্তুত, সুষ্ঠু তালিকা এবং আজকের বিতরণ অনুষ্ঠান-সব মিলিয়ে এক মডেল কার্যক্রম। সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশন প্রমাণ করেছে, উন্নয়ন মানেই বিলবোর্ডে ছবি নয়, প্রকৃত উন্নয়ন হচ্ছে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় প্রয়োজনীয় সমাধান।
নৈতিক শিক্ষা ও সমাজদর্শন: এই কাজটির বড় বার্তা
এই একটি কাজই সমাজকে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়-
যেখানে সরকারের বরাদ্দে ঘাটতি, সেখানে একজন নাগরিকের মানবিক হস্তক্ষেপ কিভাবে হাজার মানুষের ভরসা হয়ে দাঁড়ায়?
যেখানে রাজনীতি খালি প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি, সেখানে সৈয়দ হারুন সাহেবের মতো মানুষরা নিরবে কাজ করে ইতিহাস রচনা করছেন।
যেখানে শিক্ষানীতির বড় বড় কথা হয়, সেখানে একটি স্কুল ড্রেস হয়ে উঠতে পারে সামাজিক একতার প্রতীক।
ভবিষ্যতের পথচলা ও আমাদের দায়
লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ শুধু একজন দাতা নন, তিনি আদর্শ। তাঁর প্রতিটি কাজ আমাদের শেখায়-“যদি ইচ্ছে থাকে, তবে রাষ্ট্র বদলানো সম্ভব; কিন্তু শুরুটা করতে হয় হৃদয় থেকে।”
এই লেখার শেষেও আমরা বলি-
“এই সময়ের সবচেয়ে বড় রাজনীতি-নীরবভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সেই রাজনীতির একজন বিপ্লবী সৈনিক হলেন লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ।”
মানবিক নেতৃত্বই ভবিষ্যতের দিশা!
এই ছোট কাজটি প্রমাণ করে, আমরা চাইলে সমাজ বদলাতে পারি। রাষ্ট্রকে প্রতিটি শিশু যদি সমান মর্যাদা পায় এমনভাবে সাজাতে চাই, তবে আমাদের দরকার সৈয়দ হারুনদের মতো মানবিক নেতৃত্ব-যাঁরা নির্বাক শিক্ষার্থীদের চোখে স্বপ্নের ভাষা খুঁজে নেন।
ধন্যবাদ লায়ন সৈয়দ হারুন সাহেব,আপনার হাতে এই সমাজ আরও আলোকিত হোক।