বিশেষ প্রতিবেদন-মো:আবু তাহের পাটোয়ারী:
নোয়াখালীর সেনবাগ এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে।
একদিকে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের দীর্ঘ পথ পেরিয়ে বিএনপির তৃণমূল ফিরে পেতে চায় তার প্রাণশক্তিকে,
অন্যদিকে দলের ভেতরে বিভক্তি,গ্রুপিং,সুবিধাবাদিতা-সেই আগুনে প্রতিদিনই দগ্ধ হচ্ছে সংগঠনের ভিত্তি।
এমন সময়ে সেনবাগ বিএনপিকে দরকার একজন যোগ্য, গ্রহণযোগ্য এবং ত্যাগী কান্ডারী,
যিনি দলীয় সংকটে ছিলেন রাজপথে, যিনি পদ-পদবীর মোহে নয়, কাজ দিয়ে হয়েছেন আস্থার প্রতীক।
তিনি হলেন-মুক্তার হোসেন পাটোয়ারী।
পরিচয় নয়,পরিচ্ছন্নতা-এই তাঁর মূল শক্তি
সাবেক সাধারণ সম্পাদক,সেনবাগ উপজেলা বিএনপি
সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,নোয়াখালী জেলা বিএনপি
জন্ম ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে-এই মাটির সন্তান
রাজনীতির ঝড়ো দিনগুলোতে মামলা-হামলার ভয়কে জয় করে থেকেছেন রাজপথে
তার বিরুদ্ধে নেই কোনো লুটপাট, চাঁদাবাজি কিংবা দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূল বলছে একস্বরেই:”আমরা মুক্তার ভাইকে চাই!” আজ যখন সেনবাগে একটি নতুন আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা আসন্ন, তখন ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন-সর্বত্র একই প্রত্যাশার প্রতিধ্বনি:”নেতা নয়,কান্ডারী চাই-আহ্বায়ক হোন মুক্তার ভাই!”
কারণ-তিনি পারেন বিভক্ত নেতাদের ঐক্যবদ্ধ করতে
তিনি পারেন মামলা-ভয়ে আড়ালে থাকা কর্মীদের রাজপথে ফিরিয়ে আনতে তিনি পারেন সেনবাগ বিএনপিকে গড়ে তুলতে আগামীর শক্তিশালী আন্দোলনের ঘাঁটিতে
তৃণমূলের দাবি স্পষ্ট:
আমরা আর নামধারী,সুবিধাবাদী,চক্রভিত্তিক নেতৃত্ব চাই না। আমরা চাই একজন পরীক্ষিত সৈনিক-
যিনি নেতৃত্বকে দেখেন দায়িত্ব হিসেবে,যিনি প্রতিশ্রুতিতে নয়, কাজের মাধ্যমেই প্রমাণ দিয়েছেন।
শিক্ষা ও সেবামূলক কর্মজীবনে মুক্তার হোসেন পাটোয়ারী: একজন নিঃস্বার্থ জনদরদী হিসাববিদের গল্প
মুক্তার হোসেন পাটোয়ারী- নামটি বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে একটি পরিচিত মুখ, যিনি কেবল একজন দক্ষ হিসাবরক্ষক বা প্রশাসনিক কর্মকর্তা নন, বরং একজন নিঃস্বার্থ সমাজসেবকও। তাঁর শিক্ষা ও পেশাগত জীবন এই ভূখণ্ডের হাজারো মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে রয়েছে।
শিক্ষাজীবন:কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের গল্প
এসএসসি(১৯৮০)-রামেন্দ্র মডেল হাই স্কুল,সেনবাগ, নোয়াখালী থেকে মাধ্যমিক পাস করে শিক্ষাজীবনের যাত্রা শুরু করেন।
এইচএসসি (১৯৮২)-ফেনী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন।
বিকম (সম্মান)-১৯৮৫-চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেন।
এম.কম-১৯৮৬-একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ইন কমার্স সম্পন্ন করেন।
চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি (C.A.) – ১৯৯০ – আইসিএবি-র অধীনে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সির প্রফেশনাল কোর্স সম্পন্ন করেন।
এমবিএ-২০১১-ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স(UITS)থেকে মাস্টার্স ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (MBA) ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন:দক্ষতা,সততা ও সেবার সমন্বয়
মুক্তার হোসেন পাটোয়ারীর পেশাগত জীবন শুরু হয় কর্পোরেট জগতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে:
প্রধান, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা (১৯৯১-১৯৯৩) – উত্তরা গ্রুপ, মতিঝিল, ঢাকা:এই পদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি নিরীক্ষা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা,জবাবদিহিতা এবং দক্ষতা নিশ্চিত করেন।
প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা(১৯৯৪–২০১২)-চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র:এই দীর্ঘ ১৮ বছরের চাকরি জীবন শুধুই পেশাগত ছিল না,ছিল একেবারে হৃদয় ছোঁয়া মানবিক গল্পের প্রতিচ্ছবি।এখানে তিনি বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের অসংখ্য দরিদ্র ও চিকিৎসাবঞ্চিত মানুষকে চিকিৎসা সেবায় সহায়তা করেছেন-কখনো পুরোপুরি বিনামূল্যে, কখনো আংশিক ব্যয়ে।
তার অবদান শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষায় সীমাবদ্ধ ছিল না,বরং মানবিক মূল্যবোধকে বাস্তবতায় রূপ দেওয়ার অনন্য দৃষ্টান্তও বটে।
জনসেবায় এক অগ্রপথিক
মুক্তার হোসেন পাটোয়ারীর জীবনের প্রতিটি ধাপে একটাই মূলমন্ত্র-“মানুষের পাশে থাকা।”তাঁর কর্মজীবনের চূড়ান্ত অর্জন সংখ্যার অঙ্কে নয়,মানুষের দোয়ায়,ভালোবাসায়,এবং একটি অঞ্চলের মুখে মুখে থাকা তাঁর সেবার গল্পে।
জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান:
সেনবাগে যদি সত্যিকারের সুসংগঠিত, ঐক্যবদ্ধ, কর্মীবান্ধব বিএনপি চান-তাহলে তৃণমূলের আওয়াজ শুনুন।
মুক্তার হোসেন পাটোয়ারীকেই আহ্বায়ক করুন।
এই সিদ্ধান্ত শুধু একজন নেতাকে নয়, একটি আন্দোলনের ভবিষ্যৎকে বাঁচাবে। এই সিদ্ধান্ত দলীয় ঐক্য, কর্মীর মর্যাদা ও আগামীর লড়াইকে অর্থবহ করবে।
সেনবাগ জাগবে, নেতৃত্বে থাকবে সাহস-সততা-ত্যাগ
তৃণমূল প্রস্তুত। এখন প্রয়োজন একটি সাহসী সিদ্ধান্ত।
সঠিক দায়িত্বে সঠিক মানুষকে বসান-
সেনবাগে বিএনপির কান্ডারী হোন মুক্তার হোসেন পাটোয়ারী।