ঈদগাহ নয়,এটি এক নেতৃত্ব-নির্ভর সামাজিক বিপ্লবের সূচনা করেছেন সৈয়দ হারুন এমজেএফ

নবজাগরণ রিপোর্ট:
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা হয়তো জাতীয় মিডিয়ার আলোচনায় আসেনি, কিন্তু এটি ভবিষ্যতের জন্য এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছে। ঈদগাহ উন্নয়নের জন্য প্রবাসী কৃতি সন্তান ও বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা সৈয়দ হারুন এমজেএফ যেভাবে নিজ গ্রামের মানুষের জন্য দায়িত্ব নিয়েছেন, তাতে বোঝা যায়-এটা কেবল একটি ধর্মীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন নয়, বরং সমাজ-রাষ্ট্র নির্মাণের এক বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গির বাস্তব প্রয়োগ।

সৈয়দ হারুন পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঈদগাহ উন্নয়নের জন্য ২০ লক্ষ টাকার মধ্যে প্রথম ধাপে ১০ লক্ষ টাকা মানিকপুর ঈদগাহ উন্নয়ন কমিটির নামে জনতা ব্যাংক পিএলসি, সেনবাগ শাখাতে জমা দিয়েছেন।এই অনুদান কেবল অর্থনৈতিক অনুদান নয়-এটি মূল্যবোধ,সমাজ সচেতনতা এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে উৎসারিত এক রাজনৈতিক অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ।

এক ব্যতিক্রমী নেতৃত্বের নাম:সৈয়দ হারুন এমজেএফ-
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যেখানে বহু বিত্তশালী ব্যক্তি দান খয়রাত করেন নাম, ছবি আর রাজনৈতিক সুযোগের আশায়, সেখানে সৈয়দ হারুন এমজেএফ এগিয়ে এসেছেন একেবারে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। তিনি ব্যবসায়ী, কিন্তু কেবল অর্থ নয়, সমাজ নিয়ে ভাবেন। তিনি ঈদগাহ উন্নয়নে শুধু টাকা দেননি, নিজের উপস্থিতি, পরিশ্রম ও পরিকল্পনাও দিয়েছেন। ঈদের মাঠে দাঁড়িয়ে তিনি বুঝেছেন-এই জায়গা কেবল নামাজের জন্য নয়, এটি সামাজিক বন্ধনের, সম্প্রীতির, সমানাধিকারের প্রতীক হয়ে উঠতে পারে।

এই অনুদান যেন সমাজে এক নৈতিক বার্তা পৌঁছে দেয়
এটা আজকের বাংলাদেশের জন্য একটা জরুরি প্রশ্ন: যেখানে রাজনীতিবিদরা নিজের এলাকায় এক ইঞ্চি কাজ না করে কেবল প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চান, সেখানে কেন প্রবাসী সন্তানরা এগিয়ে এসে দায়িত্ব নেবেন? এই প্রশ্ন যতটা না সৈয়দ হারুনের প্রশংসা, তার চেয়ে বেশি এই রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতার প্রতি এক প্রখর আঙুল তোলা।

ধর্মীয় আবেগ নয়,সাংস্কৃতিক ঐক্য গঠনের প্ল্যাটফর্ম
মানিকপুর ঈদগাহ এখন কেবল একটি‘নামাজের মাঠ’নয়-এটি হয়ে উঠতে পারে একটি সাংস্কৃতিক ঐক্য ও সামাজিক সংহতির প্রতীক। এখানেই হতে পারে গ্রামীণ শিশু-কিশোরদের জন্য খেলার মাঠ,প্রবীণদের জন্য আরামদায়ক মিলনকেন্দ্র, উৎসবের স্থান,ও প্রয়োজনে দুর্যোগকালীন নিরাপদ আশ্রয়। এই একটিমাত্র উদ্যোগ সমাজ বিনির্মাণের কত দিক উন্মোচন করতে পারে,তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সৈয়দ হারুন এমজেএফ।

জনকল্যাণে অর্থ নয়, দরকার স্বচ্ছতা ও নেতৃত্ব
আজ বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সংকট অর্থের নয়, নেতৃত্বের। সমাজে যারা ক্ষমতায়, তাদের নেই স্বচ্ছতা, নেই দৃষ্টিভঙ্গি, নেই মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা। অথচ সৈয়দ হারুন তার অনুদান সরাসরি কমিটির একাউন্টে দিয়ে প্রমাণ করেছেন-চাইলেই স্বচ্ছতা আনা সম্ভব। আর এই কাজকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবসমাজ, কর্মজীবী শ্রেণি, এবং প্রবীণরা এখন একত্রিত হচ্ছেন। এটিই তো নেতৃত্ব-যা মানুষকে একত্রিত করে।

স্থানীয় শক্তিই পারে সমাজের মুখ উজ্জ্বল করতে
আমরা যারা রাজনৈতিক পরিবর্তনের কথা বলি, সমাজ বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি, তারা যদি সৈয়দ হারুনদের চিনতে না পারি, তাদের পাশে না দাঁড়াই-তবে জাতি হিসেবে আমরা নিজেরাই নিজেদের ব্যর্থতা ঢেকে রাখছি। একজন সৈয়দ হারুন মানে একশো সস্তা পোস্টারবাজ রাজনীতিককে অকার্যকর করে দেয়ার ক্ষমতা। এই সময়ের প্রশ্ন-আমরা কি এই নতুন ধরণের নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে আসবো, নাকি পুরনো অপদার্থ ব্যবস্থাকেই বারবার শক্তি দেব?

আহ্বান:যারা সমাজের দায়িত্ব নিতে চান,যারা ঈমান,শ্রম ও নৈতিকতায় বিশ্বাস করেন-তারা এই কাজে এগিয়ে আসুন।
মানিকপুর ঈদগাহ উন্নয়ন কমিটি
হিসাব নম্বর:০১০০২৭৫৭৫৩৯১৭
জনতা ব্যাংক পিএলসি,সেনবাগ শাখা-নোয়াখালী
রাউটিং:১৩৫৭৫২০৮১
সামাজিক নেতৃত্ব রাষ্ট্র গঠন করে-সৈয়দ হারুন এমজেএফ সেই নির্মাতা পথে হাঁটা একজন নিঃশব্দ বিপ্লবী।