নবজাগরণ রিপোর্ট :
একটা বছর জুড়ে চাঁদাবাজি,দলাদলি,হতাশা আর সহিংসতার অন্ধকারে হেঁটেছি আমরা। কিন্তু সেই অন্ধকার চিরে ২০২৫ সালের জুলাই যা দিয়েছে-তা স্বাধীনতার পর আর কোনো সরকার,কোনো প্রজন্ম,কোনো নেতৃত্ব দেয়নি!
যা কিছু বদলেছে-এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী-ক্ষমতার একচেটিয়াতা শেষ।
দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ-একতরফা আইন বানানোর যুগের অবসান। সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে PR পদ্ধতিতে নির্বাচন-আর নয় ভুয়া গণতন্ত্র।
আন্তর্জাতিক চুক্তি পাস হবে উভয় কক্ষেই-একক সিদ্ধান্তের অবসান।
গণভোটের বিধান ফিরেছে-ক্ষমতা ফিরে এসেছে জনগণের হাতে।
সংসদীয় কমিটিতে বিরোধী দলের কার্যকর অংশগ্রহণ, ডেপুটি স্পিকারও বিরোধী পক্ষ থেকে।
স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাতিল-মাদক-গুন্ডা-চাঁদাবাজমুক্ত পরিচ্ছন্ন রাজনীতির সূচনা।
৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন-সংসদ সদস্যরা দলনির্ভর নয়, জনগণের প্রতিনিধিত্বে স্বাধীন।
হাইকোর্ট বিভাগীয় শহরগুলোতে-বিচার এখন ঢাকাকেন্দ্রিক নয়,জনগণের কাছে।
স্বাধীন পুলিশ ও বিচারপতি নিয়োগ কমিশন-রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ নয়,প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা।
গণহত্যা ও ভোট জালিয়াতির তদন্ত কমিশন-কেউ আর দায় এড়িয়ে যেতে পারবে না।
এই সব এক-দুই মাসে হয়নি। হবে না।
ফ্রান্স,তিউনিসিয়া, ইউক্রেন,জর্জিয়া-কেউ পারেনি এত দ্রুত কাঠামোগত রূপান্তর আনতে।
আমরা পেরেছি,কারণ আমাদের ছিল ঐক্য।
আমাদের সামনে ছিলেন একজন নির্ভীক,দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্বদাতা –
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনূস।
কিন্তু এখন হুমকি একটাই:এই ঐতিহাসিক পরিবর্তন টিকিয়ে রাখার লড়াই।
আমরা ব্যর্থ হব না যদি ঐক্য ধরি।
আমরা ব্যর্থ হব যদি “আগে ভালো ছিলাম”-এই বয়স্ক মিথ্যার বুদ্বুদে ফিরে না যাই।
আমরা ব্যর্থ হব না, যদি জুলাই-এর চেতনা বুকে রাখি।
জুলাই ব্যর্থ হয়নি।
আমরা ব্যর্থ হব যদি এই পরিবর্তনের পাহারা না দিই।
জুলাই বাঁচাও। পরিবর্তন রক্ষা করো। নতুন বাংলাদেশ গড়ো।
মো: আবু তাহের পাটোয়ারী
সম্পাদক, নবজাগরণ
জুলাই যোদ্ধা-আহত সাংবাদিক
১ আগস্ট ২০২৫