সেনবাগের গর্ব সৈয়দ হারুন এমজেএফ:বৃত্তি বিতরণে এক অনুপ্রেরণার হাতছানি

নবজাগরণ রিপোর্ট ও বিশ্লেষণ:
শনিবার সকালে নোয়াখালীর সেনবাগ মডেল মসজিদের হলরুমে ফাদার্’স এইড জুনিয়র ইসলামিক স্কলারস ট্যালেন্ট সার্চের বৃত্তি পরীক্ষার সনদ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এ বছরের এই আয়োজনের বিশেষত্ব ছিল এক ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি-শিক্ষানুরাগী, বিশিষ্ট সমাজসেবক, সেনবাগের কৃতিসন্তান, টপস্টার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ।

যখন তিনি সেরা শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ, ক্রেস্ট ও শিক্ষা সামগ্রী তুলে দিচ্ছিলেন, তখন শুধু পুরস্কার নয়-ছিল এক গভীর বার্তা: শিক্ষাই জাতির মুক্তি, আর মেধাই উন্নয়নের চাবিকাঠি।

একজন উদ্যোক্তা থেকে শিক্ষানুরাগী সমাজনেতা
সৈয়দ হারুন এমজেএফ-এর পরিচিতি শুধু সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নয়,বরং একজন নিবেদিত সমাজসেবক হিসেবেও। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী টপস্টার গ্রুপের কর্ণধার হওয়ার পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবিক উন্নয়নে কাজ করছেন। তার প্রতিষ্ঠিত সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশন নীরবে-নিভৃতে অসংখ্য শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়েছে-কখনো বৃত্তি, কখনো বই, আবার কখনো উচ্চশিক্ষায় অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে।

বৃত্তি বিতরণ:অনুপ্রেরণার দৃশ্য
২৬টি মাদ্রাসার ১৪০ জন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তোলার মুহূর্তে হলরুমে যেন এক অন্যরকম উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষক-অভিভাবকদের চোখে গর্ব, শিক্ষার্থীদের মুখে নতুন স্বপ্নের আলো।

সৈয়দ হারুন এমজেএফ বলেন
“আমরা চাই, সেনবাগের প্রতিটি শিশু যেন বিশ্বমানের শিক্ষা পায়। বৃত্তি শুধু একটি স্বীকৃতি নয়,এটি আগামী দিনের নেতৃত্ব তৈরির হাতিয়ার।”

প্রান্তিক শিক্ষার সীমানা ভাঙার ডাক
আজকের এই অনুষ্ঠান মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধা চিহ্নিত করার এক সুন্দর উদ্যোগ। কিন্তু বাস্তবতা হলো-আমাদের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা এখনও জাতীয় মূলধারার প্রতিযোগিতায় অনেক পিছিয়ে। সৈয়দ হারুন এমজেএফ-এর মতো ব্যক্তিত্বরা যখন তাদের হাতে সনদ দেন, তখন এটি কেবল পুরস্কার নয়-এটি একটি সেতুবন্ধন, যা প্রান্তিক শিক্ষাকে যুক্ত করতে পারে আধুনিক জ্ঞান, প্রযুক্তি ও দক্ষতার জগতে।

একটি নতুন প্রজন্মের পথপ্রদর্শক
সেনবাগের এই কৃতিসন্তান দেখিয়ে দিয়েছেন-ব্যক্তিগত সাফল্য তখনই পূর্ণতা পায়, যখন তা সমাজের প্রতিটি শিশুর স্বপ্ন পূরণে বিনিয়োগ হয়। আজকের এই বৃত্তি বিতরণ কেবল একটি অনুষ্ঠান নয়; এটি এক অনুপ্রেরণার বীজ, যা ভবিষ্যতে হাজারো মেধাবী সন্তানকে নতুন আলো দেখাবে।

নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে, সৈয়দ হারুন এমজেএফ-এর এই উদ্যোগ এক মাইলফলক হয়ে থাকবে।