নবজাগরণ রিপোর্ট:
ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই ২০২৫-দেশের তিন জেলায় ও রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ‘বিএনপি-সমর্থকদের’ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে;কুমিল্লার মুরাদনগরে ৭ সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এক পৃথক ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলায় বিএনপি-যুবদলের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চিত্রগ্রহণ ও তথ্য সংগ্রহের সময় দৈনিক কালবেলা ও এনটিভি অনলাইনের উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মারধরের শিকার হন। প্রতিবেদনে বলা হয়, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কেএম বশির উদ্দিন তুহিন ও তাঁর সমর্থকরা সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে হামলা চালান। ঘটনার পর ভুক্তভোগী চিকিৎসা নেন এবং বিষয়টি গণমাধ্যমে বিস্তারিতভাবে প্রকাশিত হয়।
এর আগেই, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইন বার্তা-এর তিন সাংবাদিককে ‘বিএনপি-সমর্থক’ একদল ব্যক্তি ঘুষি-লাথি মারে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাতাহাতি থামাতে পরে বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামাল ও শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস এগিয়ে আসেন। আহত সাংবাদিকদের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ডেইলি স্টার-এ রিপোর্ট হয়।
৩০ জুলাই ২০২৫ কুমিল্লার মুরাদনগরে বিএনপি-এনসিপি সমর্থকদের সংঘর্ষ কভার করতে গিয়ে অন্তত ৭ সাংবাদিক আহত হন। ঘটনার পরদিন মুরাদনগর থানায় মামলার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মামলাটি এক সাংবাদিকই দায়ের করেন-বিবাদীপক্ষ শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।
অন্যদিকে, ৫ আগস্টের এক পৃথক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৬ আগস্ট বিএনপি-যুবদলের তিনজনকে সাংবাদিক হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ-গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
ঘটনাগুলো ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন হলেও একটি মিল স্পষ্ট-সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ছেন এবং একাধিক ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি-সমর্থকদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যেক ক্ষেত্রে দ্রুত মামলা/আইনি পদক্ষেপ ও পেশাগত নিরাপত্তা প্রটোকল নিশ্চিত করা জরুরি-অন্যথায় এলাকায় এলাকায় ‘ভয়ের সংস্কৃতি’ মিডিয়া কাভারেজকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।