নিজস্ব প্রতিবেদক-নবজাগরণ:
সেনবাগ-এক সময় যে জনপদ ছিল শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে, আজ সেই জনপদে নতুন এক ইতিহাস লেখা হলো। জামিয়া ইসলামিয়া ইব্রাহীমিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার নবনির্মিত চতুর্থ তলার শুভ উদ্বোধন শুধু একটি স্থাপনা নির্মাণ নয়; বরং এটি শিক্ষার প্রসার, মানবিকতার জয়গান আর সমাজ পরিবর্তনের এক সাহসী পদক্ষেপ।
অনুষ্ঠানের আবহ:শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে সকাল থেকেই ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। মাদ্রাসা মাঠ ভরে যায় স্থানীয় মানুষ, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অতিথিদের উপস্থিতিতে। কোরআন তিলাওয়াত ও হামদের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ মহতী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ, টপ স্টার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-
মো: সেকান্তর আলী (মানিক), চেয়ারম্যান, ভ্যালিনেক্স লিমিটেড; লায়ন শাহাদাত হোসেন, পরিচালক, টপ স্টার গ্রুপ; অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জামিয়া ইসলামিয়া ইব্রাহীমিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা রহিম উল্যাহ্ বশীরী ছাহেব। শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভা শেষে অতিথিদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
সৈয়দ হারুন এমজেএফ-ব্যবসায়ী থেকে মানবসেবক
লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ শুধু একজন উদ্যোক্তা নন, তিনি একজন স্বপ্নদ্রষ্টা। ব্যবসা-বাণিজ্যের সাফল্যের পাশাপাশি শিক্ষা বিস্তার, দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তাঁর জীবনের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে।
তিনি বিশ্বাস করেন-“অর্থ তখনই পূর্ণতা পায়, যখন তা সমাজের অন্ধকার দূর করতে কাজে লাগে।”
এ কারণে তিনি ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি সমাজের জন্য একটি শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলেছেন। তাঁর দানশীলতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি সেনবাগকে আজ অন্যভাবে চিনতে শিখিয়েছে।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে আনন্দ-
শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনেক এতিম শিশু খুশিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলে-“আগে আমাদের পড়াশোনার জায়গা ছিল সংকীর্ণ। এখন বড় ভবন হয়েছে। আমরা সবাই মিলে এখানে পড়তে পারবো, থাকতে পারবো।”অভিভাবকেরা জানান-“এই প্রতিষ্ঠান কেবল আমাদের সন্তানদের নয়, আমাদের গোটা সমাজকে বদলে দিচ্ছে। যারা সমাজের সবচেয়ে অসহায়,তারাই এখানে আলো খুঁজে পাচ্ছে।”
সেনবাগে শিক্ষার বিপ্লব:সেনবাগ অঞ্চলের শিক্ষানুরাগীরা মনে করেন, এই ধরণের প্রতিষ্ঠানই প্রকৃত সামাজিক বিপ্লবের চালিকাশক্তি। এখানে শুধু ধর্মীয় শিক্ষা নয়, আধুনিক পাঠক্রমও অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। ফলে এ অঞ্চলের শিশু-কিশোররা সমানতালে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে।
সমাজের চোখে প্রকৃত নেতা-অনুষ্ঠানে বক্তারা একবাক্যে স্বীকার করেছেন, সৈয়দ হারুন এমজেএফ-এর মতো দানশীল উদ্যোক্তাদের হাতেই দেশের ভবিষ্যৎ নিরাপদ। একজন ব্যবসায়ীও কিভাবে শিক্ষার জাগরণ ঘটাতে পারেন, তার দৃষ্টান্ত তিনি।
অঞ্চলের এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন-“এই ভবন শুধু ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, এটি হলো আশার প্রতীক। সৈয়দ হারুনের মতো মানুষরা থাকলে এ সমাজ কোনোদিন অন্ধকারে হারিয়ে যাবে না।”
আজকের এই উদ্বোধন কেবল একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি হলো সেনবাগের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়। নবনির্মিত চতুর্থ তলা দিয়ে বেড়ে উঠবে হাজারো শিক্ষার্থী, যারা আগামী দিনে দারিদ্র্যের শৃঙ্খল ভেঙে নতুন বাংলাদেশ গড়বে।
লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ প্রমাণ করেছেন-“যিনি সমাজের পাশে দাঁড়ান, তিনিই প্রকৃত নেতা।”
এই ভবন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এই উদ্যোগ-সব মিলিয়ে এটি সেনবাগের নতুন নবজাগরণের সূচনা।