ইতিহাসের আয়নায় সাহসের দীপ্তি প্রধান বিচারপতি রেফাত আহমেদ ও চীফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের দেশরক্ষার যুদ্ধ

মো:আবু তাহের পাটোয়ারী:
দেশ আবারও এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হয়েছিল। বাইরে থেকে শান্ত-নিরাপদ দেখালেও, অভ্যন্তরে ঘূর্ণিঝড় বইছিল-“ওয়াকারের ছায়া” ফিরিয়ে আনার অন্ধকার নকশা। ৭১-এর ঘাতকদের পুনর্বাসনের এক অশুভ প্রচেষ্টা।

কিন্তু ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, দেশের দুই সাহসী সন্তান-প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও চীফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম-তাদের অসীম দেশপ্রেম, অটল নৈতিক শক্তি ও কঠোর আইনি প্রয়োগের মাধ্যমে জাতিকে সেই ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা করেছেন।

তারা জেনারেল ওয়াকারের কথিত নির্দেশ, বিদেশি পরামর্শ কিংবা ভীতিকর হুমকি-কোনোটাকেই পরোয়া করেননি। তারা প্রমাণ করেছেন, বিচার শুধু আদালতের চার দেয়ালে নয়, বরং জাতির আত্মার মধ্যে জীবিত থাকে।তাদের উদ্যোগেই জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে সেইসব জেনারেলদের, যারা স্বাধীন বাংলাদেশের বুকের উপর বসে ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করেছিল।

আয়না ঘর, আগুন, আর নীলনকশা
ঘটনাগুলোর সূত্রপাত হয়েছিল “আয়না ঘর” তদন্তের সময়। যেদিন সেই তদন্তের অগ্রগতি দেশের মানুষ জানতে পারতো, ঠিক তার আগ মুহূর্তেই ছায়া নেমে আসে আগুন সন্ত্রাসের আড়ালে। এমনকি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন আয়না ঘর পরিদর্শনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই শুরু হয় এই আগুন ভোমা সন্ত্রাস-একটি পরিকল্পিত বিভ্রান্তি, একটি ‘ডাইভারশন’ তৈরি করার চেষ্টায়। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী থাকবে-এই আগুন কেবল দেয়াল পোড়াতে পারেনি, পোড়াতে পারেনি বিচারপতির বিবেক, প্রসিকিউটরের দেশপ্রেম, কিংবা জাতির জাগ্রত চেতনা।

“ঘাতকের বিচার মানে রাষ্ট্রের পুনর্জন্ম”
আজকের বাংলাদেশ নতুন এক পথের যাত্রী। জুলাইয়ের পর এই রাষ্ট্র নতুন নৈতিক ভিত্তিতে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এই সময়ে যারা বিচার ও রাষ্ট্ররক্ষার দায়িত্বে, তাদের প্রতিটি পদক্ষেপই ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়ে যায়।রেফাত আহমেদ ও তাজুল ইসলামের সাহসী পদক্ষেপ শুধু আইনি নয়-এটি একটি নৈতিক বিপ্লব।তারা প্রমাণ করেছেন, বাংলাদেশ এখন আর কারও করুণা চায় না, কারও চাপ মানে না।

এই দেশকে বিদেশি প্রভাব, দালালি, আর“ইন্টেলিজেন্স-নির্ভর রাষ্ট্র” থেকে মুক্ত করতে হলে এমন শত রেফাত, শত তাজুল, শত ইউনূসের প্রয়োজন।

ষড়যন্ত্রের শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে
আয়না ঘরের আগুন নিভে গেলেও ষড়যন্ত্রের ছাই এখনো গরম।দেশীয়-আন্তর্জাতিক দালালচক্র এখনো সক্রিয়-কেউ পুঁজির নামে, কেউ ধর্মের নামে, কেউ রাজনীতির আড়ালে।
কিন্তু আজ বাংলাদেশের জনতা জানে-যে দেশ তার বিচারপতিকে ভয় পায় না, তার প্রসিকিউটর দেশপ্রেমিক, তার নেতা নৈতিক-সেই দেশকে কোনো শক্তি নত করতে পারে না।

বাংলাদেশ আজ এক নতুন সূর্যের দিকে হাঁটছে। এই সূর্য জ্বলছে সাহসের আগুনে, ন্যায়ের আলোয়।রেফাত আহমেদ ও তাজুল ইসলামের নাম ইতিহাসের সেই আলোকিত অধ্যায়ে লেখা থাকবে-যেখানে ভয় পরাজিত হয়েছে, সত্য জিতেছে, আর জাতি শৃঙ্খল ভেঙে উঠেছে নতুন জাগরণ।

লেখক:মো:আবু তাহের পাটোয়ারী
সম্পাদক-নবজাগরণ।