অকালে মৃত্যুর রাষ্ট্রীয় দায়:সড়ক দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ আইন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের আহ্বান

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেছেন,“বাংলাদেশে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন-এটি কেবল একটি ট্রাফিক সমস্যা নয়, এটি রাষ্ট্রীয় দায়ের প্রশ্ন।”

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী এখন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বা আহতের পরিবার সরকার থেকে ১ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেতে পারে। তবে অধিকাংশ নাগরিকই এ বিষয়ে অবগত নন।

জেলা প্রশাসক বলেন,রাষ্ট্রের দায়িত্ব কেবল ক্ষতিপূরণ দেওয়া নয়, বরং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট ট্রাফিক ব্যবস্থা, বিকল্প পরিবহন পরিকল্পনা, এবং জনসচেতনতা গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি।

তিনি আরও জানান,প্রতিটি জেলা প্রশাসন যদি “নিরাপদ সড়ক সেল” গঠন করে, তবে মানুষের জীবন রক্ষায় সরকার সত্যিকারের রক্ষকের ভূমিকা পালন করতে পারবে। তিনি বলেন-“একজন মানুষের মৃত্যু কেবল দুর্ঘটনা নয়, এটি রাষ্ট্রের দায়িত্বহীনতার অমোচনীয় দাগ।”

নবজাগরণ রিপোর্ট:
অকালে মৃত্যুর রাষ্ট্রীয় দায়!
প্রতিদিন ১৫-২০টি প্রাণ হারাচ্ছে সড়কে।
৫,০০০-এরও বেশি পরিবার বছরে হারাচ্ছে প্রিয়জন।
কিন্তু জানেন কি-রাষ্ট্র এখন ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে, যদি আপনি ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করেন?

১-৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে সরকার
(সড়ক দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বোর্ড, BRTA)
তবুও অধিকাংশ মানুষ জানে না!
তাই বলছেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ- “প্রতিটি সড়ক মৃত্যু আসলে একটি প্রতিরোধযোগ্য হত্যাকাণ্ড।“একজন মানুষের মৃত্যু রাষ্ট্রের দায়িত্বহীনতার দাগ।”

প্রতিটি জেলায় “নিরাপদ সড়ক সেল” চাই
জনসচেতনতা চাই
স্মার্ট ট্রাফিক নজরদারি চাই
এখন সময়-রাষ্ট্রকে মানবজীবনের সুরক্ষাকে রাজনৈতিক অগ্রাধিকার বানানোর।