বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতি ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দেখতে চায় দেশ: বিকল্প রাষ্ট্রচিন্তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

মো: আবু তাহের পাটোয়ারী:
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন চলছে এক অস্থির, অবিশ্বাস্য এবং দিশাহীন সময়। এ অবস্থায় বিশিষ্ট বিশ্লেষক, লেখক ও ইউটিউবার ডা. পিনাকী ভট্টাচার্য সম্প্রতি একটি যুগান্তকারী প্রস্তাব দিয়েছেন-বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনীত করা হোক। একইসঙ্গে আলোচনায় এসেছে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব। এই দুই প্রস্তাব শুধু সাহসী নয়-এটি বাস্তবতা নির্ভর, যুক্তিনির্ভর এবং সময়োপযোগী। যদি এই নেতৃত্ব বাস্তবায়ন হয়, তবে বাংলাদেশে একটি নয়া রাষ্ট্রদর্শনের সূচনা সম্ভব।

ইতিহাসে খালেদা জিয়ার অবস্থান:
বেগম খালেদা জিয়া শুধু তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নন-তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উত্তরাধিকার, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রধান নেত্রী, কারাভোগ ও নির্যাতনের মুখেও আপসহীন এক সংগ্রামী প্রতীক। তিনি রাজনীতিকে ব্যবহার করেননি ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে, বরং দায়িত্ব হিসেবে পালন করেছেন। আজ গণতন্ত্রকে আবার প্রতিষ্ঠা করতে হলে এমন একটি অভিভাবকীয়, অভিজ্ঞ এবং আপোষহীন নেতৃত্বের প্রয়োজন অনস্বীকার্য।

রাষ্ট্রপতির পদে বেগম জিয়া: সময়ের অপরিহার্যতা
বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর দলীয় প্রেসিডেন্ট, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবহার ও বিচার বিভাগের রাজনৈতিককরণ-সবকিছুর বিপরীতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আসনে একজন নিরপেক্ষ, পরীক্ষিত ও দেশপ্রেমিক নেত্রীর উপস্থিতি ইতিহাসের দাবি হয়ে উঠেছে।

ক. তিনি আপোষহীন ও সাহসী।
খ.তিনি ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থানে ছিলেন সবসময়।
গ. তিনি রাষ্ট্রীয় ভারসাম্য রক্ষার প্রতীক হতে পারেন।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: আশা ও গ্রহণযোগ্যতার রূপরেখা
অন্যদিকে, বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থায় অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাড়া বিকল্প নেই। আর সেই সরকার পরিচালনায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য এবং দলীয় রাজনীতির বাইরে থাকা ব্যক্তিত্ব প্রয়োজন-এখানে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস হয়ে উঠতে পারেন একমাত্র কার্যকর সমাধান।

১. তিনি রাজনৈতিক দলের বাইরে থাকায় নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে পারেন।
২.তাঁর নেতৃত্ব জনগণের বিশ্বাস ও আন্তর্জাতিক আস্থাকে অর্জন করতে সক্ষম।
৩.তিনি পারস্পরিক সংলাপ, সহনশীলতা ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে একটি অবাধ নির্বাচনের ভিত্তি গড়ে তুলতে পারেন।

খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূস: নতুন নেতৃত্বের যুগল প্রতীক
একজন রাষ্ট্রপতি হিসেবে গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়া, অন্যজন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নৈতিক নেতৃত্বের আন্তর্জাতিক প্রতীক ড. ইউনূস-এই যুগল নেতৃত্ব হতে পারে সেই রূপান্তর, যা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব থেকে বাংলাদেশকে উত্তরণের পথ দেখাবে। এদের সম্মিলিত নেতৃত্বে:

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন,
বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা,
গুম-খুন বন্ধ,
জাতীয় সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি-সবকিছুই সম্ভব।

আমাদের শুভকামনা ও দোয়া
আমরা দেশের বিবেকবান নাগরিক ও নবচেতন মানুষ হিসেবে এই দুই বরেণ্য নেতার প্রতি জানাই অফুরন্ত দোয়া ও শ্রদ্ধা।

বেগম খালেদা জিয়া-জনগণের হৃদয়ে সমুজ্জ্বল এক প্রতীক, যিনি রাষ্ট্রের অভিভাবক হতে পারেন
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস-নৈতিকতা, স্বচ্ছতা ও আন্তর্জাতিক মর্যাদার একজন জীবন্ত প্রতিচ্ছবি

বাংলাদেশ এখন ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। প্রশ্ন একটাই-আমরা কি পুরনো ভুলকে আবার ডেকে আনব, নাকি সামনে এগিয়ে এক নতুন ও বিকল্প নেতৃত্বকে গ্রহণ করব?
লেখক:সম্পাদক ও প্রকাশক-
নবজাগরণ।
বিস্তারিত জানতে পড়ুন এবং শেয়ার করুন
www.thenabajagaran.com