মোস্তাফিজুর রহমান : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গুরুত্বপূর্ণ অধিদপ্তরের গত ১৬ বছরের গড়ে ওঠা লুটপাটের সহযোগীদের বিতাড়িত করার সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ।এটি একটি দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কিত খবর যা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম এবং তার সহকর্মীদের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আলোচনা করছে। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি এবং কমিশন বাণিজ্য পরিচালনা করার অভিযোগ ওঠেছে আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে, যার মধ্যে টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য, এমনকি সরকারি বরাদ্দের অপব্যবহারও অন্তর্ভুক্ত।
তার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অভিযোগ হলো, তিনি নানা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে মিলে অস্বাভাবিকভাবে অর্থ উপার্জন করেছেন এবং একাধিক বছর ধরে দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি বরাদ্দের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যদিও তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে, তা সত্ত্বেও সেগুলো এখন পর্যন্ত কার্যকরভাবে তদন্ত বা সমাধান হয়নি। বিশেষত, তার নিয়ন্ত্রণাধীন ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে আরও অনেক অপকর্ম চিহ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গণপূর্তের সূত্রের দাবি ২০১৭ -২০২২ সাল পর্যন্ত সকল রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পুনরায় অডিট করলে অন্তত ৫০ কোটি টাকা গ ড়মিল পাওয়া যাবে। এছাড়াও গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলের দায়িত্ব পালন কালীন বিভিন্ন ঠিকাদারের নিকট হতে অধিক পরিমাণ উৎকোচ গ্রহণ করে অনুমোদিত বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা হতে তিন বছরে প্রায় ৬০ কোটি টাকার অতিরিক্ত দরপত্র আহবান করে ঢাকা গণফূর্ত বিভাগ ১ – এ বদলি হয়ে চলে যান। একই সময় রাজধানী সেগুনবাগিছা এলাকায় কয়েকটি পরিত্যক্ত বাড়ি ও তিনটি ভবন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম। খরচ করার জায়গা না থাকলেও অর্থবছরে 120 কোটি কাজের বিপরীতে রহস্যজনকভাবে ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। এ প্রকৌশলী নিম্নমানের কাজ করে অর্থ আত্মসাৎ করায় নানা সমালোচনার জন্ম দেয়। যেহেতু তিনি প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের সিন্ডিকেট সদস্য তাই তার অপকর্ম সামনে আসেনি।
এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রশাসনিক দুর্বলতা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপের প্রতি সন্দেহও উঠে এসেছে, যদিও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু সিন্ডিকেটের শক্তিশালী উপস্থিতির কারণে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) শামীম আক্তার এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রতিবেদকের ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। সার্বিক বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।





