যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবীব দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন

*ত্রিশ হাজার টাকা বেতন চড়েন নিজের গাড়িতে
*অফিসে রয়েছে সরকারি এম এল এস
*বাড়ি গাড়ি ফ্ল্যাট কোনটি নাই তার এ যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পাওয়া
মোস্তাফিজুর রহমান : যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবীব দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ।
ত্রিশ হাজার টাকা বেতন চড়েন নিজের গাড়িতে ।অফিসে রয়েছে সরকারি এম এল এস,বাড়ি গাড়ি ফ্ল্যাট কোনটির অভাব নাই , অল্প দিনে হয়ে যান আলাদিনের চেরাগ ।
এটি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের দুর্নীতির স্বেতপত্র।যুব উন্নয়নের প্রধান কার্যালয়ে ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবীব এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।এসব অভিযোগ করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয় কর্মরত তার একাধিক সহকর্মীরা।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে তৃতীয় শ্রেণী পদে চাকরি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে আহসান হাবিব এর রয়েছে অত্যাধুনিক বাড়ি , গাড়ি , ফ্ল্যাট , প্লট ও বিভিন্ন ব্যাংকের নামে কোটি টাকার এফডিআর ও সঞ্চয়পত্র। এছাড়া নামে বেনামে রয়েছে প্রায় কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি।
অনুসন্ধান সূত্র বলছে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবীব অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় গড়েছেন রাজধানী ঢাকার সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় চারতলা বাড়ি, পুরান ঢাকার নারিন্দা এলাকায় কোটি টাকা মূল্যের অত্যাধুনিক ফ্ল্যাট, গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার লাকসামে বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়ি পরিবারের ব্যবহারের জন্য রয়েছে নিজস্ব প্রাইভেট গাড়ি।
অনুসন্ধান আরও বলছে , আহসান হাবিব পুরান ঢাকার নারিন্দায় ক্রয়কৃত আলিশান ফ্ল্যাটটি অন্যের কাছে ভাড়া দিয়ে নিজে পরিবার নিয়ে নারিন্দা এলাকায় অন্য একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে থাকেন। তার বসবাসরত ফ্ল্যাটটির ভাড়া আনুমানিক ৪০ হাজার টাকার উপরে। স্থানীয় বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় , ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবীব এর তিন সন্তানের মধ্যে দুই জন লেখা পড়া করে ঢাকার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ , অন্যজন সেন্ট জোসেফ স্কুলে অধ্যায়নরত।
এদিকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্ত গণমাধ্যম কে জানান,পদ পদবী অনুযায়ী মেকানিক আহসান হাবিবের সরকারি বরাদ্দকৃত গাড়ি গুলো তার ব্যবহারের অনুমতি না থাকলেও তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দকৃত গাড়ি নিজের ইচ্ছামতো যখন যেটা খুশি ওই গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন যাহা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি। মেকানিক আহসান দাপুটে আচরণ করে দোর্দণ্ড অপরাধ করেছেন।
উল্লেখ্য যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে , যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে নিলামে কয়েকটি গাড়ি বিক্রি করে কর্তৃপক্ষ , উক্ত নিলামকৃত গাড়ি থেকে আহসান হাবীব একটি গাড়ি নিজ নামে ক্রয় করেন এবং উক্ত গাড়ির সকল প্রকার জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ গাড়ি চালানোর জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ড্রাইভারসহ যাবতীয় খরচ সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবিব এর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ তিনি ব্যক্তিগত কাজের জন্য একজন এমএলএসএস কে সার্বক্ষণিক তার ব্যক্তিগত কাজের জন্য ব্যবহার করে থাকেন । তবে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ওই এমএলএসএস কে তিনি সরকারি অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মচারী বলেন মাত্র ৩০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করে আহসান হাবিব কীভাবে ঢাকায় বাড়ি ,গাড়ি ,ফ্ল্যাট ,প্লট গ্রামের বাড়িতে ডুপ্লেক্স বাড়ি তিন ছেলের স্বনামধন্য স্কুলে লেখাপড়ার খরচ বহন করেন তা আমাদের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের বোধগম্য নয়।তারা আরও বলেন ,এ দুর্নীতিবাজ কর্মচারীগণ যুব উন্নয়নের মান ক্ষুণ্ন করেছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু।
এসব অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের বিষয় জানতে আহসান হাবীবের মুঠো ফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি প্রতিবেদক কে বলেন, আমাদের অফিস প্রোগ্রাম চলছে আমি এখন ঢাকা ইউনিভার্সিটি পরে ফ্রি হয়ে ফোন দেব। পরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও ফোন কল গ্রহণ করেননি হোয়াটসঅ্যাপ খুদেবার্তা পাঠানো হলেও কোন জবাব দেননি।