নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী শাজাহান খান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয়।
যারা কথায় কথায় অন্যকে রাজাকার ও রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেয়। তারা মূলত ভারতীয় মুক্তি যোদ্ধা। আসলে এরা বাংলাদেশকে সিকিম ও হায়দ্রাবাদের মতো ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে ৭১ সালে যুদ্ধ করেছিল।
নেতাদের বাড়ি গাড়ি আর সম্পদের পাহাড় !
কর্মীদের ভাঙ্গা ঘর আর একবেলা আহার !
৮৫ সালেও জাসল ডাকাত শাজাহান খানের বসত ভিটায় তার বাবার করা ৩/৪ টা জং ধরা বড় বড় টিনের ঘর ছাড়া আর কোন ঘর ছিলনা। আর এখন ?
মাদারীপুরের সর্বোচ্চ উচ্চতার ১০ তালা আবাসিক ভবন ! তার পাশে আলিশান ডুপ্লেক্স! তার পাশে ৩ ষ্টার বহুতল সার্বিক হোটেল! তার পাশে দৃষ্টি নন্দন জামি টাওয়ার ! বাড়ীর বিপরীতে আছে নিজদের বিশেষায়িত ঝকঝকে হসপিটাল ! তার পাশে আধুনিক নিজস্ব বাস কাউন্টার ও অফিস ! শহরের চারদিকে রয়েছে নামে বেনামে অসংখ্য জমি, প্লট ও স্থাপনা ! সার্বিক পরিবহনের শত শত দুর পাল্লার বাস ! চোখ জূড়ানো আলোকোজ্জ্বল সার্বিক ফিলিং ষ্টেশন ও ওয়াশিং প্লান্ট। সার্বিক শিপিং ও এমভি ঐশী !
সমগ্র শহর জূড়ে নিজের ও বাবার নামে স্কুল, কলেজ, মসজিদ, সড়ক, সেতু ও ষ্টেডিয়াম ! এযেন মাদারীপুর নয়, যেন শাজাহানপুর !
ঢাকার ব্যবসা বানিজ্য, সহায় সম্পত্তি আর বিদেশে পাচার করা হাজার হাজার কোটি টাকা ও বেগম পাড়ার বাড়ী গাড়ির কথা বাদই দিলাম !
যারা তার কর্মী বাহিনী তাদের কি আছে ! তাদের আছে একটা ভাঙ্গা ঘর ! দিনের বাজার ঠিকমতো হয়না ও মুখের আহার ঠিকমতো জোটেনা ! এদিকে খাঁন সাহেবের ছোট ভাই ও হাজার কোটি টাকার মালিক যাচ্চু নানা ইতালিতে পালাতে পারলেও খাঁন সাহেব ও তার সদ্য উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়া বড় ছেলে পালাতে পারেনি যদিও একজন বর্ডার দিয়ে ও অন্যজন এয়ারপোর্ট দিয়ে পালাতে চেষ্টা করেছিল !
সময় অনুকূল হলে দেশ ও দশকে বাঁশ দেওয়া নেতারা আবার স্বমহিমায় ফিরে এসে এমপি হবে, তার ভাই মেয়র হবে, তার ছেলে চেয়ারম্যান হবে আর তাদের কর্মী বাহিনী পাহারাদার কুকূর হয়ে তাদের আরাম আয়েশ ও স্বপ্ন পূরনের জন্য ঘেউ ঘেঊ করবে আর মুগুরের বাড়ি খেয়ে রাস্তা ঘাটে মরে পরে থাকবে !