ভোলা মনপুরায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে অনেক নিরীহ মানুষকে সর্বশান্ত করেছেন সাবেক মহিলা মেম্বার আমরোজা বেগম

ভোলার মনপুরায় গ্রামের অসহায় নিরীহ মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সাবেক মহিলা মেম্বার আওয়ামিলীগ নেত্রী আমরোজা বেগম। মতের অমিল হলেই অসহায় নিরীহ মানুষকে হয়রানি করে চাঁদা দাবি করে। তবে কাঙ্ক্ষিত চাঁদা না দিলেই ওই নিরীহ ব্যক্তি হয়ে যায় মামলার প্রধান আসামি। তার এই মিথ্যা মামলা থেকে বাদ যাইনি বিএনপি নেতারাও। দাপুটে এই সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেত্রী যেন মামলার দোকান খুলে বসে আছে। নিরীহ খেটে খাওয়া সাধারণ শ্রমিক ও কৃষকদের পাশে নেই কেউ, উদাসীন হয়ে দিক বেদিক ঘুরছে দেখার কেউ নেই। বাংলাদেশে ৩৬শে জুলাই ২০২৪ আন্দোলনে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের ৫ই আগস্টে পতন হওয়ার পরও যেন সুপার পাওয়ার হয়ে উঠছে এই আওয়ামী নেত্রী। তথ্য সূত্রে জানা যায়, মনপুরা ৪নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সাবেক ইউপি মহিলা মেম্বার আওয়ামী লীগ নেত্রী আমরোজা বেগমের মামলা হামলায় জর্জরিত শত শত নিরীহ অসহায় শত পরিবার ।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দরিদ্র কৃষক আবুল কাসেমকে ভুয়া দলিলপত্র দেখিয়ে মামলা হামলা করে দীর্ঘদিন যাবত হয়রানি করে আসছে। অসহায় জেলে আব্দুল কাদের, আব্দুর রহিম মেস্তরী, খবির মেস্তুরী, আব্দুল লতিফ পাটোয়ারী, এমনকি মামলা থেকে বাদ যায়নি হাজী নোয়াব আলী সর্দার জামে মসজিদের দির্ঘদিনের ইমাম ও খতিব মৌলভি ছিদ্দিক উল্লাহ। আওয়ামী লীগ আমলে ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জনাব বাহার পাঠোয়ারীকে কয়েকটি মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। তথ্য সূত্রে আরো জানা যায়, ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আব্দুল হাই চৈয়ালকেও মামলা হামলা করে হয়রানি করে আসছে মামলাবাজ আমরোজা বেগম। অনুসন্ধানে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সময় দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত সে এলাকায় শত শত মামলা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। স্বৈরাচার হাসিনা সরকার যাওয়ার পরেও তার মামলা হামলা চলমান আছে। এ যেন ভোলার এক শক্তিশালী ক্ষুদ্র পরমাণু নারী। এতদিন যাবৎ মানুষ ভয়ে কিছু বলতে পারেনি, এখন তারা মুখ খুলতে শুরু করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার এক বৃদ্ধ বলেন, ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক জনাব হেলাল মাঝির জমি আওয়ামী লীগ আমলে প্রভাব খাটিয়ে দখল করার চেষ্টা করেছিল। তার জমি খেটে খাওয়া মোহাম্মদ নুর হোসেন ও তার ছেলে শামীম বর্গা ধান চাষ করেন, ধান নেওয়ার সময় মহিলা মেম্বার আমরোজা বেগম বাধা দেয়। তখন তর্ক বিতর্কের সময় নূর মোহাম্মদের ছেলে শামীমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পরে তাকে আওয়ামীলীগের সদস্য বানিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করে আসছে। তিনি বলেন ওই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেত্রীর কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মিথ্যা মামলায় এলাকার ভুক্তভোগী মানুষেরা এবার মুক্ত হতে চায়। আইনি প্রক্রিয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে অন্যায়কারীর সর্বোচ্চ শাস্তিই সত্যের মুক্তি হবে। এব্যাপারে অভিযুক্ত আমরোজা বেগম আমাদের প্রতিনিধিকে জানান তিনি ২০০৮ সালে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন যার নং ০৯/০৮। আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বলেন,নিম্ন আদালতে এই জমি নিয়ে নিম্ন আদালতে মামলা করা হয়েছে তা অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আমরুজা বেগমের বড় ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট জুলফিকার আলী বলেন, আমার বাড়ির জমি নিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনের করেছি। হাইকোর্টে আমাদের পক্ষে রয়েছে।অথচ হাইকোর্টে কি অর্ডার দিয়েছে তা সে পড়ে দেখেননি। এলাকার জনগণ বলেন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পত হয়েছে এখনো তার ক্ষমতার উৎস কোথায়? তাহলে ছেলের ক্ষমতায় মা এখনো তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। অপ্রতিরোধ্য আমরোজা বেগমকে রুখবে কে? তি এখন দেখার বিষয়।