৩২০ জনের সবাই A+! -এ কিসের শিক্ষা, কিসের ন্যায়?

– নবজাগরণ রিপোর্ট:
একটি স্কুলের ৩২০ জন পরীক্ষার্থীর সবাই A+ পেয়েছে – খবরটা শুনে বাহবা দিতে ইচ্ছে হতে পারে। কিন্তু একবার থামুন, ভাবুন-এই তথাকথিত “সফলতার” পেছনে লুকিয়ে আছে কি ভয়ানক শিক্ষা-বাণিজ্য?

★কত শিক্ষার্থীকে বেছে বাদ দেওয়া হয়েছে এই ‘সফলতা’ দেখাতে?
★ কত পরিবারকে অপমান-হতাশা আর কান্না উপহার দেওয়া হয়েছে?

আজ দেশে বহু নামী-দামী স্কুল “A+ কোলেকশন সেন্টারে” পরিণত হয়েছে।
টাকা-পয়সা, গেটকিপিং, টেস্ট পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থী বাছাই করে যাদের সম্ভাবনা কম -তাদের বাদ দিয়ে দিচ্ছে মূল পরীক্ষার ফরম ফিলাপে।
এই নির্মম ছাঁটাইয়ের শিকার যারা, তাদের জন্য কেউ নেই।

৬ লাখ ৬৬০ জন ফেল! -দায়টা কার?
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ৬,৬৬,০০০ জন অকৃতকার্য!
এই ভয়াবহ সংখ্যার জন্য দায়ী-
ক. কোচিং-নির্ভর পরীক্ষাভিত্তিক শিক্ষা
খ. টেস্ট পরীক্ষায় বাদ দেওয়ার অমানবিক পদ্ধতি
গ. মনিটরিং ও মানসম্পন্ন পাঠদানের অভাব
ঙ. অভিভাবকদের ঠকিয়ে প্রতিষ্ঠানের ফলাফল ব্যবসা
চ. সরকার ও শিক্ষা নীতির ভুল পরিকল্পনা

★আমাদের প্রস্তাব: এক বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিন

যারা কেবল এক বিষয়ে ফেল করেছে, তাদের জন্য:
১. সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা / রিভিউ সুযোগ দিন
২. এইচএসসিতে ভর্তির সুযোগ খুলে দিন
৩. মানসিক চাপ, হতাশা, আত্মহত্যা হ্রাস পাবে
৪. জাতির ভবিষ্যৎ রক্ষা পাবে

এই শিক্ষা নয়, মানবিক শিক্ষা চাই
একটি শিশু যদি ৮-১০ বছর স্কুলে পড়ে, তার পরীক্ষা দেওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া অপরাধ।
স্কুল প্রতিষ্ঠানের মুখ রক্ষা নয়- মানুষের ভবিষ্যৎই হোক শিক্ষার মূল লক্ষ্য।

অভিভাবকদের দাবি:
১. টেস্ট পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থী বাদ দেওয়া বন্ধ করতে হবে
২. এক বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দিতে হবে
৩. ৬ লাখ ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় পুনর্বাসন পরিকল্পনা নিতে হবে
৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে

এই শিক্ষা-বাণিজ্য রুখতে হবে এখনই!
৬ লাখ ৬৬০ জন ফেল নয় –
এটা ৬ লাখ ৬৬০টি কান্নার গল্প, ভাঙা স্বপ্ন, পোড়া বুকের আর্তনাদ।
শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান, মন্ত্রী, সচিব, সরকার- আপনাদের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।
এই কান্না রাষ্ট্রকে শুনতেই হবে।

এই পোস্ট শেয়ার করুন, প্রতিবাদে যোগ দিন
শিক্ষাকে বাঁচাতে হলে- এখনই প্রতিরোধ গড়তে হবে!