সংসদ নির্বাচনের হালচাল (পর্ব ০১) ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর -০২ আসনে কে হতে পারেন বিএনপির প্রার্থী

কে.এ.সাদাত : আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সর্বত্রই চলছে আলোচনা, জল্পনা কল্পনা। নিজ আধিপত্য ধরে রেখে রাজনৈতিক অংগনে নিজের শক্ত অবস্থান জানান দিতে নিজ এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করছে বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই দক্ষিণের জেলা পিরোজপুরও। এই জেলায় রয়েছে ৩টি সংসদীয় আসন। তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আসন হচ্ছে জাতীয় সংসদের আসন নং ১২৮ পিরোজপুর ০২। নেছারাবাদ (স্বরুপকাঠী),কাউখালী এবং ভান্ডারিয়া উপজেলা নিয়ে এই আসন গঠিত। বার বার আসন পুনর্বিন্যাসের কারণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনের বর্তমান সীমানা বহাল থাকবে কিনা তা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে রয়েছে সংশয় । সবকিছু ঠিক ধরেই বর্তমান সীমানার উপর ভিত্তি করে আমাদের এই নির্বাচনী জরীপ প্রতিবেদন।
পিরোজপুর ০২ আসনের তিনটি উপজেলার মধ্যে নেছারাবাদ (স্বরুপকাঠী) উপজেলাই বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত। ইহাছাড়াও প্রায় ৪ লক্ষ ভোটার অধ্যুষিত এ আসনের অর্ধেক ভোটারই রয়েছে স্বরুপকাঠী উপজেলায়। কাউখালী ও ভান্ডারিয়া উপজেলা আনোয়ার হোসেন (মঞ্জু)’এর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি জেপি’র কব্জায় ছিল। আনোয়ার হোসেন ( মঞ্জু) দীর্ঘদিন মন্ত্রী ও এমপি থাকার কারনে কার্যত ঐ দুই উপজেলায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কেহই রাজনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থান সৃষ্টি করতে পারেনি। ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে আমির হোসেন (আমু) এ,কে ফায়জুল হকের মতো হেভি ওয়েট নেতারাও স্বরুপকাঠী বিএনপির ভোটের ব্যাবধানের কাছে পরাজয় বরন করতে বাধ্য হয়।
কাউখালী ও ভান্ডারিয়া উপজেলায় বিএনপির যে অবস্থা এবং অবস্থান রয়েছে তাতে যে কোনো স্থানীয় নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়া সম্ভব। কিন্তু শক্ত প্রতিপক্ষ থাকলে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ নির্বাচনী এলাকা নিয়ন্ত্রণ করার পরিস্থিতি ঐ দুটি উপজেলার কোনো নেতৃবৃন্দের আছে বলে দৃশ্যমান নেই। এদিক থেকে নেছারাবাদ (স্বরুপকাঠী) উপজেলা বিএনপি রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে। অন্য দুটি উপজেলার ভোটার সংখ্যার সমান ভোটার রয়েছে স্বরুপকাঠীতে। বিএনপির হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এলাকার সর্বত্র বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন কয়েকজন। এর মধ্যে বিগত আওয়ামী সরকারের সাথে দহরমমহরম সম্পর্ক থাকার বিষয়টি এলাকায় চাউর থাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন কেউ কেউ। নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে কারো কারো বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতার বিষয়টিও সামনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ইহাছাড়াও মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো কোনো কোনো নেতার বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের স্হানীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের আশ্রয় দেয়া নিজ দলে পুনর্বাসন করার অভিযোগও রয়েছে। সবকিছু ছাপিয়ে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশিতদের দৌড়ে রয়েছেন নেসারাবাদ উপজেলা শাখার সদস্য সচিব আবদুল্লাহ্ আল বেরুনী (সৈকত), উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ ফখরুল আলম।
জনমত জরীপে দেখা গেছে সাংগঠনিক দক্ষতা, ক্লিন ইমেজ ও গন সম্পৃক্ততার কারণে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বিএনপির নেসারাবাদ উপজেলা শাখার সদস্য সচিব আবদুল্লাহ্ আল বেরুনী (সৈকত)।
(কে এই আবদুল্লাহ্ আল বেরুনী (সৈকত) তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন নব জাগরনের পাতায়)