জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আবারও ইউনিয়নবাসীর খেদমত করব ইনশাআল্লাহ

কে.এ. সাদাত : পুনঃরায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়নবাসীর পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন পিরোজপুর জেলার নেসারাবাদ (স্বরুপকাঠী) উপজেলার সমূদয়কাঠী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব নাজমুল ইসলাম সাইদ।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় যেমনি তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন তেমনি সম্ভাব্য ইউপি চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীরাও থেমে নেই।
সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই স্হানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে কথা উঠলে সম্ভাব্য ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য পদপ্রার্থীরাও তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে।
দেশের উপকূলীয় জেলা পিরোজপুর। এই জেলার নেসারাবাদ (স্বরুপকাঠী) উপজেলার দক্ষিণেই ৮ নং সমূদয়কাঠী ইউনিয়নের অবস্থান। ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে নাজমুল ইসলাম সাইদ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। হিন্দু এবং মুসলিম জাতি তথা যুবক শ্রেনীর নিকট সাইদ চেয়ারম্যান ছিল খুবই জনপ্রিয়। তার এই জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনে পরাজিত শক্তি ও এলাকার একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ১/১১ এর সময় তার বিরুদ্ধে ঐ কুচক্রী মহলটি মিথ্যা মামলা দায়ের করলে তাকে জেল হাজতে যেতে হয়। দীর্ঘদিন কারাবরণ করে সাধারণ জনগণের নিকট তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পূর্ব থেকেই তিনি এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে হাত দেন। গরীব দুঃখী মানুষকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতে থাকেন। তারই ফলশ্রুতিতে ঐ নির্বাচনে তিনি এলাকার প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে জনগণের ভোটে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিগত আওয়ামী সরকারের জমানায় কালো টাকার ছড়াছড়ি, ভোট কেন্দ্র দখল, সবার সম্মুখে টেবিলে ভোট দেয়া ও জাল ভোটের সাংস্কৃতি শুরু হয়। স্হানীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান তাদের মনোনীত প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার জন্য নির্বাচনী মাঠে সবগুলো অপকর্মেই লিপ্ত হয়। আওয়ামী লীগ জমানায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা অতি অল্প সময়ের মধ্যেই কোন ঠাসা হয়ে পড়ে। কিন্তু নাজমুল ইসলাম সাইদ তার বিপুল জনসমর্থনের উপর নির্ভর করে প্রতিটি স্হানীয় সরকার নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। কিন্তু প্রতিবারই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ভোটের কাজে নিয়োজিত প্রশাসনকে ব্যবহার করে তার বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়। তার পরও কখনোই তিনি তার ইউনিয়নের জনসাধারণের নিকট থেকে বিচ্ছিন্ন হননি। সকল প্রকার চাপ থাকা সত্ত্বেও তিনি তার কর্মী সমর্থকদের মাঠে রেখে কখনোই পালিয়ে যাননি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিগত দিনে যারা ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে তাদের মধ্যে অনেকের নামই এলাকাবাসী ভুলে গেছে। এলাকার মানুষের সাথে যোগাযোগ থাকার কারনে দাদা থেকে নাতি পর্যন্ত তিনটি জেনারেশনই আমাকে চিনেন এবং জানেন। আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহন বিষয়ে নাজমুল ইসলাম সাইদ বলেন, নির্বাচন কবে হবে তা নিশ্চিত নই। কিন্তু সেই পর্যন্ত আল্লাহ যদি সুস্থ্য শরীরে বাঁচিয়ে রাখেন তাহলে জনগনকে সাথে নিয়েই এবারের ভোট যুদ্ধে অবশ্যই অবতীর্ণ হব।বিজয়ের ব্যাপারে আপনি কতখানি আশাবাদী?
এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। ২০০৩ সালের পরে আর কখনো স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় জনগন তাদের সঠিক মতামত প্রকাশ করতে পারেনি। অন্তরবর্তীকালীল সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন শতভাগ স্বচ্ছ হবে বলে দেশের মানুষের ধারণা। তাই নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী। আগামী নির্বাচনে আপনার শক্ত প্রতিপক্ষ কাউকে মনে করেন কিনা? উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচনে যারাই অংশ গ্রহন করবে কাউকেই আমি দূর্বল ভাবি না। জয় পরাজয় জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে নির্ধারণ করবে। সঠিকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তার ফলাফল আপনারাই দেখতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, মাঠ জরীপ করলেই জনগণের মতামত জানতে পারবেন।
( গণ জরীপ ও নাজমুল ইসলাম সাইদ এর সাক্ষাৎকার নিয়ে বিস্তারিত থাকছে আগামী সংখ্যায়) চোখ রাখুন নবজাগরণ এর পাতায়।