গাজার ঐক্যের সাফল্য: মানবতার মহাকাব্য ও প্রতিরোধের বিপ্লব

মো:আবু তাহের পাটোয়ারী :
যখন গোটা বিশ্ব ফিলিস্তিনের দিকে তাকিয়ে আছে আশঙ্কা আর রক্তের রেখায়, তখন গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে জন্ম নিচ্ছে এক নতুন ইতিহাস-ঐক্যের বিজয়গাথা। অবরুদ্ধ, রক্তাক্ত এবং গোলারুংধিত গাজা স্ট্রিপে এবার ফিলিস্তিনিরা এক বিস্ময়কর ঐতিহাসিক সাফল্যের নজির গড়েছে। বিভক্ত গোষ্ঠী, উপজাতি এবং পরিবার-যারা কখনো কখনো রাজনৈতিক মতবিরোধে বিভাজিত ছিল, তারা সবাই একত্রিত হয়ে গাজার প্রতিটি এলাকায় এইড ট্রাক প্রবেশকে সুনিশ্চিত ও সুরক্ষিত করেছে।

কেন এই ঐক্য এত গুরুত্বপূর্ণ?

একটি জাতি তখনই পরাজয় এড়াতে পারে, যখন তারা ভিতরের বিভক্তিকে জয় করতে পারে। ইসরায়েলি অবরোধের ভয়ঙ্কর বাস্তবতায়, যেখানে এক বস্তা আটা বা এক বোতল পানির জন্য জীবন বিপন্ন হয়, সেখানে শত শত পরিবার ও গোষ্ঠী নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরে এসে বলেছে-
“প্রথমে মানবতা, পরে মতবাদ।”

এটি কেবল একটি সহায়তা সরবরাহের কৌশল নয়; এটি হলো ফিলিস্তিনি আত্মপরিচয়ের পুনর্জাগরণ। এটা যেন এক নীরব বিপ্লব যা অস্ত্র ছাড়াই গড়ে তুলছে প্রতিরোধের দেওয়াল।

এইড ট্রাকের পথ খুলে দিল কে?

জবাব একটাই: ঐক্যবদ্ধ জনগণ।
বিভিন্ন অঞ্চলের প্রভাবশালী পরিবার, উপজাতি নেতৃবৃন্দ, এমনকি স্থানীয় প্রতিরোধ যোদ্ধারাও একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে এইড কনভয় গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। খাদ্য, ওষুধ, পানি-এই সব নিয়ে আসা ট্রাকগুলো যেন ঈদের খুশির মতোই এসেছে অবরুদ্ধ গাজাবাসীর জন্য।
এটি রাষ্ট্র ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে “জনগণের দ্বারা পরিচালিত জনগণের জন্য মানবিক বিজয়”।

ইসরায়েল ও পশ্চিমা শক্তির জন্য এটি বার্তা:

যারা ভেবেছিল, “ডিভাইড অ্যান্ড কনকার” কৌশলে ফিলিস্তিনিদের মনোবল ভেঙে দেওয়া যাবে, তাদের জন্য এটি একটি চপেটাঘাত। কারণ ক্ষুধার্ত মানুষদের মধ্যে বিভেদ না ঘটিয়ে বরং ক্ষুধাই ঐক্যের জ্বালানী হয়ে উঠেছে।

মিডিয়া চুপ, কিন্তু ইতিহাস দেখছে

পশ্চিমা মিডিয়া এই ঐক্যের গল্প বলবে না। তারা দেখায় শুধু ধ্বংস, কান্না, ও হতাশা। কিন্তু এই নীরব বিজয়-একটি জাতির আত্মমর্যাদা, স্বয়ংক্রিয় সংগঠন, এবং প্রতিরোধের সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে যা ভবিষ্যতের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় লিখবে।
গাজা জানিয়ে দিয়েছে: মানবতার জন্য যদি ঐক্য হয়, তবে শত্রু যত বড়ই হোক, তাকে ঠেকানো যায়।

বৃহত্তর ঐক্য যে-কোনো বিজয়ের পূর্ব শর্ত “মুনাফেক নিপাত যাক- মুসলমান মুক্তি পাক”?

আজ গাজার গোষ্ঠীগুলো তাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে অস্ত্র বানিয়ে মানবতার পক্ষে লড়াই জিতছে। এই জয়ের নাম ‘ঐক্য’, এই অস্ত্রের নাম ‘সমঝোতা’। বিশ্ব নেতাদের উচিত এখনই গাজার জনগণের এই আত্মপ্রতিরোধকে সম্মান জানানো, কারণ তারা প্রমাণ করেছে-
জাতিকে বাঁচাতে অস্ত্র নয়, লাগে অন্তঃকরণের ঐক্য।

স্যালুট গাজা! স্যালুট ঐক্য! স্যালুট মানবতা!জয় মুসলমানদের!
লেখক :সম্পাদক -নবজাগরণ।
সবাই এই মহাখুশির সংবাদটি শেয়ার করুন।আরো জানতে – www.thenabajagaran.com