ইরান খুলে দিলো গাজার স্বাধীনতার দ্বার-বিজয়ের মুখে ফিলিস্তিন

নবজাগরণ ডেস্ক:
গাজা-যে নামটি এক যুগ ধরে মানে ছিল মৃত্যু, ধ্বংস আর নীরব কান্না-আজ সেই গাজা বিজয়ের হাসি হাসছে।
যেখানে এক সময় ত্রাণ পৌঁছানো মানেই ছিল আত্মাহুতি, আজ সেখানে ইরান-সমর্থিত জোটের প্রতিরোধের ফলেই ত্রাণ-সাহায্যের গাড়িগুলো ঢুকছে নির্বিঘ্নে, নিঃশব্দে, জয়ের মিছিলের মতো।

ইরান কি শুধু মিসাইল ছুঁড়েছে?
না, ইরান ছুঁড়েছে প্রতিরোধের নীলনকশা।
ইরান দিয়েছে প্রযুক্তি, গোয়েন্দা সহায়তা, রাজনৈতিক কভারেজ-আরো দিয়েছে একটাই বার্তা:
“দখলদার ইসরায়েলকে এখন আর কেউ ভয় পায় না।”

ইরানের সমন্বয় ও সরাসরি নির্দেশনায় হামাস, ইসলামিক জিহাদ, ও কাতাইব আল-কাসাম যেভাবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিগুলোকে চূর্ণ করছে-তা শুধু সামরিক নয়, একেবারে মনস্তাত্ত্বিক ধ্বংসযজ্ঞ।

গাজায় শহীদ হয়েছে শত শত বীর, কিন্তু তাদের রক্ত বৃথা যায়নি।
গতকাল রাতেও খান ইউনিস ও দেইর আল-বালাহতে ইসরায়েলি সেনা কাফেলায় হামলা চালিয়ে এক ঝটকায় ২০ জন সৈন্যকে মাটিতে ফেলে দিয়েছে প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
ড্রোন, স্নাইপার, আইইডি-সব কৌশলে তারা আজ পরিণত এক গেরিলা ফোর্স।

ত্রাণ ট্রাকের বিজয়-মিছিল
যেখানে ক’মাস আগেও জাতিসংঘের গাড়িগুলো গুলি খেত, আজ সেখান দিয়ে ইরান ও কাতার-সমর্থিত ট্রাকগুলো ঢুকছে খাদ্য, ওষুধ, পানি নিয়ে।
ত্রাণ নয়, এগুলো হচ্ছে স্বাধীনতার বার্তা বহনকারী বাহন।
ইসরায়েল ব্যর্থ-একেবারে কৌশলগতভাবে।

একটা প্রশ্ন: এখন গাজার পর?
আজ গাজা আংশিকভাবে হলেও শ্বাস নিচ্ছে।
সেই শ্বাসের পেছনে যাদের কণ্ঠ-তারা আর কেউ না, ইরান, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুথি এবং সিরিয়ার প্রতিরোধ ফ্রন্ট।
এটাই মধ্যপ্রাচ্যের নতুন বাস্তবতা।
দখলদার ইসরায়েল এখন পরিণত হয়েছে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে

যে ইসরায়েল ছিল আক্রমণকারী, সে আজ রক্ষার দায়ে জর্জরিত।
তার প্রযুক্তি হারিয়েছে মরাল, তার সেনারা হারিয়েছে আত্মবিশ্বাস।
এটা ফিলিস্তিনের মানসিক বিজয়, একটি দীর্ঘ প্রতিরোধ যুদ্ধের ফল।

“নবজাগরণ” বলছে:
এই বিজয় শুধু গাজার নয়, এটা গোটা মুসলিম উম্মাহর অন্তর্জাগরণ।
যখন তেল-গ্যাস বিক্রেতা আরব শাসকেরা নীরব থাকে, তখন ইরানের মত এক অবরুদ্ধ জাতি “প্রতিরোধ” শব্দটিকে করে তোলে নতুন বিপ্লবের হাতিয়ার।
গাজা আজ ইরানের হাত ধরে হাঁটছে ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ে-যার নাম স্বাধীনতা।
শেয়ার করুন সবাই
www.thenabajagaran.com