মো:আবু তাহের পাটোয়ারী:
নোয়াখালী জেলা সমিতি, ঢাকা’র আসন্ন কার্যনির্বাহী কমিটি (২০২৫-২০২৭) নির্বাচনকে ঘিরে প্রবাসী নোয়াখালীবাসীর মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্যানেল তাদের প্রার্থীদের পরিচিতি ও অঙ্গীকার তুলে ধরছেন। এর মধ্যে আলোচনায় এসেছেন অবসরপ্রাপ্ত আমলা, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট সমাজসেবক কে এম মোজাম্মেল হক। তিনি এম এ খান বেলাল-আবদুল মাবুদ দুলাল পরিষদ থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অবসরপ্রাপ্ত আমলা ও সচিব,অফিসার্স ক্লাবের দু-দুবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্তস্থাপনকারি-কে এম মোজাম্মেল হক দীর্ঘ সরকারি চাকরি জীবনে সততা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের জন্য সুনাম কুড়িয়েছেন।বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের স্কুল কলেজ মাদ্রাসা সড়ক ও বিদ্যুৎ উন্নয়নে এ কৃতিসন্তানের অবদানের কথা মানুষের মুখে এখনো উচ্চারিত হচ্ছে । অবসরের পর তিনি সমাজসেবা, শিক্ষা উন্নয়ন এবং প্রবাসী নোয়াখালীবাসীর কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন। সহকর্মী ও সমর্থকরা বলছেন, তার রাজনৈতিক কিংবা ব্যবসায়িক কোনো স্বার্থ নেই-শুধুমাত্র সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
বেলাল-দুলাল পরিষদের প্রতিশ্রুতি
“ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে সর্বজনীন নোয়াখালী জেলা সমিতি গঠন” -এই স্লোগান নিয়ে বেলাল–দুলাল পরিষদ এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। পরিষদের প্রধান অঙ্গীকার হলো-
সংগঠনের ঐতিহ্য রক্ষা
প্রবাসী নোয়াখালীবাসীর সামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নয়ন
তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করা
শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগ নেওয়া
এই পরিষদের অন্যতম ভরসা হিসেবে দেখা হচ্ছে কে এম মোজাম্মেল হককে।
সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা
অবসরোত্তর জীবনে তিনি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন নানাভাবে। বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে অবদান রাখার কারণে নোয়াখালীর গ্রামীণ সমাজে তার প্রতি মানুষের বিশেষ আস্থা রয়েছে। রাজধানীতে অবস্থানরত নোয়াখালীবাসীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে তিনি সর্বজনীন ঐক্যের মাধ্যমে জেলা সমিতিকে শক্তিশালী করতে চান।
ভোটারদের প্রত্যাশা
ভোটাররা বলছেন, “মোজাম্মেল হক একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ। তার মতো নির্লোভ সমাজসেবকরা সংগঠনে নেতৃত্ব দিলে দলাদলি কমবে, ঐক্য ও সৌহার্দ্য বাড়বে।”
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ভোটাররা তাদের মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে জেলা সমিতির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণ করবেন। কে এম মোজাম্মেল হকের প্রার্থিতা ইতিমধ্যেই আলোচনায় এসেছে এবং বেলাল-দুলাল পরিষদের শক্ত অবস্থান তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখছে।
নোয়াখালীবাসীর প্রত্যাশা-এবারের নেতৃত্বে থাকবেন এমন ব্যক্তিত্ব, যিনি সততা, অভিজ্ঞতা ও মানবিকতার মাধ্যমে সমিতিকে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এগিয়ে নিয়ে যাবেন।