নবজাগরণ রিপোর্ট:
গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হাসান আল মামুন বলেছেন, নুরুল হক নুরের ওপর বর্বরোচিত হামলার ১৪ দিন অতিক্রান্ত হলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। তিনি অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের কতিপয় সদস্যের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততায় প্রকাশ্যে সংঘটিত এই হামলার দৃশ্য সারাদেশের মানুষ গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেখেছে। অথচ হামলাকারীরা চিহ্নিত হওয়ার পরও আজও গ্রেপ্তার হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
‘সরকার কি সেনাবাহিনীকে ভয় পাচ্ছে?’
আল মামুন বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হলেও এর কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই। জনগণ সরকারের এই টালবাহানা আর মেনে নেবে না। তিনি প্রশ্ন রাখেন-
“সরকার কি সেনাবাহিনীকে ভয় পাচ্ছে, নাকি অন্য কোনো গোপন ষড়যন্ত্র আছে এখানে?”
তিনি স্পষ্ট করে জানান, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। একইসঙ্গে তদন্ত কমিশনের কার্যক্রম জনসম্মুখে প্রকাশ করার দাবি জানান।
‘আওয়ামী লীগ রিফাইন চেষ্টার ফল নুরের ওপর হামলা’
আল মামুন বলেন, সেনাপ্রধান নিজেই বলেছেন তিনি আওয়ামী লীগকে ‘রিফাইন’ করে স্বচ্ছ রূপে ফেরাতে চান। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ভেস্তে যাওয়ায় এবং জনগণের আস্থা হারানোর ভয়ে নুরুল হক নুরের ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, পরবর্তীতে আবারও জাতীয় পার্টিকে সামনে এনে আওয়ামী লীগকে রিফাইন করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু জনগণ এসব চালবাজি ভালোভাবেই বুঝতে পারছে।
নুরের চিকিৎসা ও সরকারের উদাসীনতা:সংবাদ সম্মেলনে হাসান আল মামুন আরও জানান, হামলায় গুরুতর আহত নুরুল হক নুর ঢামেকে ১৪ দিন ধরে চিকিৎসাধীন আছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানো হবে। এমনকি সরকারের প্রেস সচিবও এ বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু আজও কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন,“আমরা ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকদের ওপর আস্থা রাখি। তবে নুরের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া জরুরি। যদি সরকার এ বিষয়ে দৃশ্যমান উদ্যোগ না নেয়, তাহলে আমাদের নেতাকর্মীরাই নিজের উদ্যোগে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।”
আন্দোলনের হুঁশিয়ারি:আল মামুন স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জনগণ আর সরকারের ফাঁকি মেনে নেবে না। নুরের ওপর হামলার বিচার ও চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদের আন্দোলন চলবে এবং তা আরও কঠোর আকার ধারণ করবে।