নবজাগরণ ডেস্ক:
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার পূর্ব লালপুর গ্রামের কৃতি সন্তান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু নাছের আজ শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজ উন্নয়ন ও সাংবাদিকতার জগতে এক উজ্জ্বল নাম-তিনি মোহাম্মদ আবু তাহেরের সন্তান। কর্মজীবনের শুরুতে বাংলাদেশ রাইফেলস (বর্তমানে বিজিবি)-এর ১১ রাইফেলস ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পালন করে দেশের প্রতি তার নিবেদন প্রমাণিত হয়।
শিক্ষাক্ষেত্রে তার অবদান অভূতপূর্ব। ২০০০ সালে চাইল্ড রাইজ একাডেমী ও ২০০৪ সালে ইউনিভার্সেল একাডেমী প্রতিষ্ঠা করে সেনবাগে মানসম্মত শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা জিয়া এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট, নোয়াখালীর চৌমুহনীতে অবস্থিত, বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ কোড: ৪২২৩ হিসেবে বিএড ও লাইব্রেরী সায়েন্স শিক্ষায় সুনাম কুড়াচ্ছে।
অধ্যাপনা জীবনে তিনি রেখেছেন উজ্জ্বল পদচিহ্ন। দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি ভারতের জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।
সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডেও তিনি সমানভাবে সক্রিয়। সেনবাগে ইউনাইটেড হোমিও হলের বিশেষজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হিসেবে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে তার অবদান প্রশংসনীয়।
শিক্ষা ও চিকিৎসার পাশাপাশি সাংবাদিকতাও তার নেশা। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি নিবেদিত সাংবাদিক। বর্তমানে তিনি জাতীয় দৈনিক ‘আজকের বসুন্ধরা’ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার, ‘The Our Bangladesh Times’ এর নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি, ‘The Daily Post’ এর সেনবাগ উপজেলা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় দৈনিক ‘নয়া পৃথিবী’ পত্রিকার সাথে যুক্ত রয়েছেন। এছাড়া, তিনি সেনবাগ উপজেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি ও নোয়াখালী সাংবাদিক ইউনিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রফেসর ড.মোহাম্মদ আবু নাছের বলেন,“শিক্ষা,সংস্কৃতি ও সমাজ উন্নয়নের মাধ্যমে একটি প্রজন্মকে আলোকিত করা আমার জীবনের লক্ষ্য।”
সর্বশেষে বলা যায়,বাংলাদেশ রাইফেলসের প্রাক্তন সদস্য থেকে শুরু করে সফল শিক্ষক,প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ,গবেষক, চিকিৎসক ও সাংবাদিক-প্রফেসর ড.মোহাম্মদ আবু নাছের নোয়াখালী ও দেশের গর্বিত কৃতি সন্তান।
