জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে নোয়াখালী পৌরসভার প্রশাসক মুহাম্মদ ইসমাঈলের বিশেষ কার্যক্রম
নবজাগরণ-নোয়াখালী ব্যুরো:
দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা, অপরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাপনা ও জনভোগান্তির চিত্র বদলে দিতে নোয়াখালী পৌরসভার প্রশাসক জনাব মুহাম্মদ ইসমাঈল একটি সাহসী উদ্যোগ নিয়েছেন-যার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে সম্প্রতি মাইজদী নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে জেলখানা হয়ে মাইজদী বাজার পর্যন্ত সড়ক, ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে।
এই উন্নয়ন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নোয়াখালী জেলার মাননীয় জেলা প্রশাসক জনাব খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রশাসক ইসমাঈলসহ এলজিডি ও এলজিইডির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ (LGD) ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (LGED)-এর আওতায়, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত Resilient Urban Territorial Development Project (RUTDP)-এর অধীনে।
উন্নয়নের পরিসর: শুধু ইট-পাথর নয়, মানবিক পরিকল্পনা
এই প্রকল্পের লক্ষ্য কেবল রাস্তা তৈরি নয়, বরং শহরের নাগরিক জীবনকে টেকসই, নিরাপদ ও আধুনিক করা।
আরসিসি সড়ক: ৫৫৫ মিটার
বিসি (বিটুমিনাস কার্পেটিং) সড়ক: ২,৪৪৫ মিটার
মোট সড়ক: ৩,০০০ মিটার বা ৩ কিলোমিটার
ড্রেন: ৫,০৮৪ মিটার (প্রায় ৫.১ কিমি)
ফুটপাত: ১,৬৯০ মিটার
এই পরিসংখ্যান কেবল উন্নয়ন কাজের দৈর্ঘ্য প্রকাশ করে না; এটি নোয়াখালী পৌরসভার প্রশাসনের সমন্বিত নগরব্যবস্থাপনা ভাবনার প্রতিফলন।
জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি, নাগরিক নিরাপত্তায় অগ্রগতি
মাইজদী অঞ্চলের দীর্ঘদিনের একটি বড় সমস্যা ছিল-বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতা ও চলাচলে অসুবিধা। নতুন ড্রেনেজ ও আরসিসি সড়ক নির্মাণ সেই দুর্ভোগ কমাবে। ফুটপাত নির্মাণের ফলে পথচারীদের নিরাপদ চলাচলের পরিবেশ সৃষ্টি হবে, যা স্থানীয় অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডকেও গতি দেবে।
প্রশাসকের দায়িত্ববোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি
নোয়াখালী পৌরসভার প্রশাসক মুহাম্মদ ইসমাঈল দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নাগরিক দুর্ভোগ কমাতে মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। ড্রেন-ফুটপাত নির্মাণ, শহর পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি, আলো-বাতাস নিশ্চিত করা এবং নাগরিক সেবা সহজীকরণে তাঁর পদক্ষেপগুলো প্রশংসিত। তাঁর এই নতুন উদ্যোগকে অনেকেই “মাইজদী শহরের পুনর্জাগরণের সূচনা” হিসেবে দেখছেন।
উন্নয়ন শুধু বাজেট নয়-একটি পরিকল্পিত রূপান্তর
এ প্রকল্পে অংশীদার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান-পৌরসভা, এলজিডি ও এলজিইডি-একত্রে কাজ করছে। বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা ও প্রশাসনের দৃঢ় তদারকি এই প্রকল্পকে দ্রুত ও মানসম্মতভাবে সম্পন্ন করতে সহায়ক হবে। ভবিষ্যতে এই উন্নয়ন মডেল নোয়াখালীর অন্যান্য পৌরসভাগুলোর জন্যও অনুসরণীয় হতে পারে।
নাগরিক প্রত্যাশা ও দায়িত্ব:উন্নয়ন প্রকল্পের সফলতা নির্ভর করে নাগরিক সহযোগিতার ওপরও। রাস্তা ও ড্রেনের কাজ শেষ হলে এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণকে পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা বজায় রাখতে হবে। শহরটিকে সুন্দর রাখতে প্রশাসন ও জনগণের সমন্বিত দায়িত্ববোধ অপরিহার্য।
এই প্রকল্প কেবল একটি নির্মাণকাজ নয়-এটি নোয়াখালীর নাগরিক জীবনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। জলাবদ্ধতা, যানজট ও অনিরাপদ চলাচলের দিন শেষ করে একটি পরিচ্ছন্ন, পরিকল্পিত ও মানবিক শহর গঠনের পথে পৌরসভা প্রশাসন যেভাবে এগোচ্ছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
অনলাইনে পড়ুন:www.thenabajagaran.com
নবজাগরণ নোয়াখালী ব্যুরো:





