অবৈধ ইউনানী ঔষধ কোম্পানির পক্ষে মাঠে নেমেছে দালাল চক্র

ডেস্ক রিপোর্ট : দেশের সর্বত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে নাম সর্বস্ব ইউনানী ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। অনুসন্ধানে জানা যায়, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান ঔষধ প্রশাসনের নিবন্ধন নিয়েছে আবার অনেকগুলো রয়েছে নিবন্ধন বিহীন। কিন্তু অধিকাংশ ইউনানি ঔষধ তৈরির কারখানার উদ্দেশ্য এবং কর্ম পদ্ধতি প্রায় এক এবং অভিন্ন। আর তা হলো অনুমোদনহীন, নকল, ভেজাল ও মানহীন ঔষধ তৈরী ও বাজারজাত করন। অনুসন্ধানী প্রতিবেদক দল বৈধ ইউনানী ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, সম্ভাবনা ও বিভিন্ন সমস্যা উদঘাটন ও সমাধান কল্পে করনীয় নির্ধারনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং ইউনানী ঔষধ তৈরির কারখানার মালিকদের সাক্ষাৎকার গ্রহন করে ধারাবাহিকভাবে তারা প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।

তারই ধারাবাহিকতায় ইউনানী ঔষধ উৎপাদনরত কারখানাগুলোর নিকট থেকে অধিকতর তথ্য সংগ্রহের জন্য তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী ডাকযোগে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়। ইউনানী ঔষধ তৈরির কারখানার উপর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য এসাইনমেন্ট প্রাপ্ত প্রতিদিন দলের প্রধান কাজী আনোয়ার সাদাত ইতিমধ্যে ৫০ টি প্রতিষ্ঠানের নিকট তথ্য চেয়ে আবেদন পত্র পাঠিয়েছেন। যাহা লিখিতভাবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে অবহিত করা হয়।

ইহা ছাড়াও ১০টি জেলার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বরাবরে তার জেলায় বৈধভাবে স্থাপিত এবং সচল ইউনানী ঔষধ তৈরির কারখানার তালিকা চেয়ে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী আবেদন করা হয়। বিভিন্ন ইউনানী ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে তথ্য চেয়ে আবেদন করা হলে ইতিমধ্যে অধিকাংশ আবেদন পত্রের প্রাপ্তী স্বীকার রসিদ ফেরত এসেছে। কয়েকটি ইউনানী ঔষধ তৈরির প্রতিষ্ঠান তাদের তথ্যও ইতিমধ্যে সরবরাহ করেছে। কিন্তু বিপত্তির শুরু অন্যত্র।
গত ১১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ বিকাল ৫.০৫ মিনিটে কাজী আনোয়ার সাদাত এর মুঠো ফোন নাম্বার ০১৯২০-৪৬৫৯৯৬ তে একটি ফোন কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে ০১৭১১-৩৭২১৪১ নাম্বার থেকে তার নাম রফিক বলে পরিচয় দেয়। সে নিজেকে দৈনিক করতোয়া পত্রিকার সহ সম্পাদক বলে মোবাইল ফোনে জানান । সাংবাদিক পরিচয় দানকারী ঐ ব্যাক্তি বিশেষ প্রতিনিধি কাজী আনোয়ার সাদাতকে প্রশ্ন করে সে কোনো ইউনানী ঔষধ তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট তথ্য চেয়ে আবেদন করেছেন কিনা ? উত্তরে ঐ প্রতিনিধি জানান তিনি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নিকট তথ্য চেয়ে আবেদন করেছেন।

অপরাধ বিচিত্রা প্রতিনিধি ঐ ব্যাক্তির নিকট জানতে চান সে কোন্ কোম্পানির পক্ষে কথা বলছেন? সে ঐ প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে উল্টো উত্তেজিত কন্ঠে এই বলে হুমকি দিয়েছে তুই তোর অফিসে থাকিস তোকে পিটিয়ে তোর চামড়া লাল করে দিব। কথোপকথনের বিষয়টি মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকার দিয়ে এই প্রতিনিধি তার পাশে উপবিষ্ট একাধিক সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীকে শোনান। হুমকি প্রদানের বিষয়টি বিশেষ প্রতিবেদক কাজী আনোয়ার সাদাত এর মোবাইল ফোনে রেকর্ড রয়েছে। যাহা তিনি পরে একাধিক ব্যাক্তিকে শোনান। এ বিষয়ে এ প্রতিনিধির মন্তব্য হুমকি প্রদানকারী ঐ ব্যাক্তি কোনো পেশাদার সাংবাদিক নয়।

সে যে কোনো অবৈধ ও ভেজাল ইউনানী ঔষধ তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানের ভাড়াটিয়া মাস্তান । ঐ মাস্তান তার জীবনের প্রতি হুমকি বলে মনে করেন। তাই উক্ত প্রতিনিধি গত ১২ নভেম্বর রাজধানীর মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। মতিঝিল থানার সাধারণ ডায়েরি নং ৮৭৯ তারিখ ১২.১১.২০২৪ ইং। জিডি’র তদন্তের অনুমতি চেয়ে মতিঝিল থানার উপ পরিদর্শক কাজী মোঃ শাহনেওয়াজ গত ০২.১২.২০২৪ তারিখে ঢাকার বিজ্ঞ সিএমএম আদালতে একটি আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত গত ০৫.১২.২০২৪ তারিখে মতিঝিল থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করেন