নবজাগরণ রিপোর্ট:
ঐতিহ্যের প্রাচীনতম সংগঠন-ঢাকায় বসবাসরত নোয়াখালীবাসীর সাংগঠনিক ও সামাজিক প্রাণকেন্দ্র হলো নোয়াখালী জেলা সমিতি। ১২০ বছরের এই সংগঠন মূলত প্রবাসী নোয়াখালীবাসীর একতা, ঐক্য ও উন্নয়নের প্রতীক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে দীর্ঘদিন ধরে এটি পরিণত হয়েছিল একটি ক্ষুদ্র সিন্ডিকেটের পকেট সংগঠনে। আজীবন সদস্যরা ভোটাধিকারবঞ্চিত, কার্যক্রম ছিল স্থবির, অফিস ছিল জরাজীর্ণ। সমিতির সঙ্গে সাধারণ নোয়াখালীবাসীর সম্পর্ক প্রায় ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।
বৈষম্যের শেকল ভাঙা-
পরিস্থিতি বদলাতে মাঠে নামেন এম এ খান বেলাল ও আবদুল মাবুদ দুলাল। তাঁরা বুঝেছিলেন-যদি সমিতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে হয়, তবে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
তাঁদের নেতৃত্বে আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়।
গঠনতন্ত্র সংশোধন করে আজীবন সদস্যদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হয়। নিজস্ব অর্থায়নে অফিস আধুনিকায়ন ও সুশোভিত করা হয়। উন্মুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সূচনা করা হয়। এটি শুধু একটি সাংগঠনিক পদক্ষেপ নয়-এটি ছিল একটি আন্দোলন। বৈষম্যের শেকল ভেঙে প্রবাসী সমাজের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের অধিকার।
সভাপতি এম এ খান বেলাল : দূরদর্শী উদ্যোক্তা
এম এ খান বেলাল, বেলাল-দুলাল পরিষদের সভাপতি প্রার্থী। তিনি সম্রাট শিল্প গ্রুপের চেয়ারম্যান, যার অধীনে ১৭টি প্রতিষ্ঠান সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন। দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক খাতে অর্থায়ন করছেন। তাঁর জীবনই প্রমাণ করে-ব্যক্তিগত সাফল্যকে তিনি জনকল্যাণে পরিণত করতে জানেন।
সাধারণ সম্পাদক আবদুল মাবুদ দুলাল : জনকল্যাণের সৈনিক- সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আবদুল মাবুদ দুলাল-ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি। পুলিশ জীবনে তিনি সততা, কর্মদক্ষতা ও মানবিকতায় সমানভাবে পরিচিত নোয়াখালীর সংকটে তিনি সবসময় এগিয়ে এসেছেন। সামাজিক উদ্যোগ ও মানবিক সহায়তায় তিনি প্রবাসীদের আস্থা অর্জন করেছেন। বেলালের দূরদর্শী নেতৃত্ব আর দুলালের প্রশাসনিক দক্ষতা মিলেই জেলা সমিতিকে এক শক্তিশালী ভিত্তি দেবে।
সিনিয়র সহসভাপতি কে এম মোজাম্মেল হক : অভিজ্ঞতার প্রতীক। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ হলো সিনিয়র সহসভাপতি। এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক সচিব কে এম মোজাম্মেল হক। চার দশকের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। অফিসার্স ক্লাবের তিনবার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। সততা, শুদ্ধাচার ও দক্ষতার জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিত। ভোটাররা বলছেন, সমিতিতে তাঁর মতো একজন অভিজ্ঞ প্রশাসক যুক্ত হলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। বেলাল-দুলাল পরিষদে তাঁর অবস্থান পুরো পরিষদকে আরও শক্তিশালী করবে।
কেন বেলাল-দুলাল পরিষদ এগিয়ে
১. অতীত কর্মধারা -এই প্যানেলের প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের জন্য কাজ করেছেন।
২. একতাবদ্ধ প্রচারণা-তাঁরা নির্বাচনী মাঠে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন, বিভাজনের রাজনীতি এড়িয়ে চলেছেন।
৩. যোগ্যতার ভারসাম্য -অভিজ্ঞ নেতৃত্ব, তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ এবং প্রশাসনিক দক্ষতা-সবকিছু মিলিয়ে একটি শক্তিশালী টিম তৈরি হয়েছে।
৪. প্রবাসীদের আস্থা-সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ, সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ এবং মানবিক উদ্যোগ তাঁদের জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।ব্যবসায়ী আমলা আইনজীবী পেশাজীবি সাংবাদিক সব পেশাদার সমন্বয়ে একটি চমৎকার প্যানেল তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করছে সচেতন মহল।
সব মিলিয়ে নোয়াখালী জেলা সমিতির এবারের নির্বাচনে বেলাল-দুলাল পরিষদের বিজয় প্রায় অনিবার্য। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে তাঁদের প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা ইতোমধ্যেই স্পষ্ট। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন সাবেক সচিব কে এম মোজাম্মেল হক, যিনি সিনিয়র সহসভাপতি পদে লড়াই করছেন। তাঁর সততা, অভিজ্ঞতা এবং পরিষ্কার কর্মপরিকল্পনা এই পরিষদকে আরও শক্তিশালী করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
নেতৃত্ব, অভিজ্ঞতা ও আস্থার এই সমন্বয় হয়তো নোয়াখালী জেলা সমিতিকে আগামী দিনে নতুন দিকনির্দেশনা দেবে।
ভোটারদের প্রত্যাশা-
বেগমগঞ্জ-সেনবাগ-সোনাইমুড়ীর আজীবন সদস্যরা বলছেন, “যে কোনো দিক থেকে বিচার করলে আমরা বেলাল-দুলাল পরিষদের বিকল্প দেখি না।” চাটখিলের জুলফিকার মাহমুদ জানান, “আমরা চাই সমিতির উন্নয়ন ধারা অব্যাহত থাকুক। তাই বেলাল-দুলাল পরিষদকেই ভোট দেব।”
সেনবাগের আরমান আহ্বান জানালেন, “সকল আজীবন সদস্য যেন পূর্ণ প্যানেলে বেলাল-দুলাল পরিষদকে ভোট দেন।” সোনাইমুড়ীর ভিপি মনির বিজনেস বলেন, “নতুন প্রজন্মের স্বপ্নের নিরাপদ ভরসা কেবল বেলাল-দুলাল পরিষদ।” এইসব বক্তব্য প্রমাণ করে-ভোটারদের আস্থা দৃঢ়ভাবে বেলাল-দুলাল পরিষদের দিকে।
প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষের দুর্বলতা
অন্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিভক্ত ও দিশাহীন।
ঐক্য নেই,শক্তিশালী কর্মপরিকল্পনা নেই,ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা নেই।ফলে তারা বেলাল-দুলাল পরিষদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো অবস্থানে নেই।
নবজাগরণের প্রতিশ্রুতি
যদি বেলাল-দুলাল পরিষদ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে, তবে-সমিতি হবে বৈষম্যমুক্ত।আজীবন সদস্যদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।তরুণ প্রজন্ম যুক্ত হবে।প্রবাসীদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে।নোয়াখালীর উন্নয়ন কার্যক্রমে সরাসরি অংশগ্রহণ বাড়বে।এটাই হবে নোয়াখালী জেলা সমিতির নবজাগরণ।
এবারের নির্বাচন নোয়াখালী জেলা সমিতির ইতিহাসে মাইলফলক। এটি শুধু নেতৃত্ব পরিবর্তনের লড়াই নয়-এটি একটি গণতান্ত্রিক মুক্তির আন্দোলন। সভাপতি এম এ খান বেলাল, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মাবুদ দুলাল এবং সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক সচিব কে এম মোজাম্মেল হক-এই ত্রয়ীর নেতৃত্বে সমিতি পাবে নতুন প্রাণ, নতুন গতি, নতুন দিশা। বিশ্লেষকরা বলছেন :“নোয়াখালী জেলা সমিতির ভবিষ্যৎ মানেই বেলাল-দুলাল পরিষদের বিপুল বিজয়।”
প্রতিবেদন:মো:আবু তাহের পাটোয়ারী-সবাই শেয়ার করুন
অনলাইনে পড়তে:www.thenabajagaran.com