বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান অভিযোগ করেছেন যে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত অগ্রগতি জানতে এবং সাক্ষাতের সময় নির্ধারণের লক্ষ্যে তিনি গত এক মাস ধরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো কার্যকর সাড়া পাননি।
দুদকে গিয়ে সরাসরি সাক্ষাৎ করে এবং সরাসরি দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হন। সেখানে তিনি দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পিআরও তাকে আশ্বস্ত করেন যে বিষয়টি দুদক চেয়ারম্যানের নজরে এনে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
দুদকের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ
দুদকের দীর্ঘ নীরবতায় অসন্তোষ প্রকাশ করে নাদিম হাসান বলেন“গত এক মাস ধরে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো কার্যকর প্রতিক্রিয়া পাইনি। দুর্নীতির মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দুদকের নীরবতা জনমনে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন-“আগামী ৭ দিনের মধ্যে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া না হলে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে আমরা দুদক ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।”
পরিষদের অবস্থানঃ
যুব অধিকার পরিষদ মনে করে, যেকোনো অভিযোগের দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত করা দুদকের সাংবিধানিক দায়িত্ব। এ ধরনের বিলম্ব বা অস্পষ্ট অবস্থান দুর্নীতিবিরোধী লড়াইকে দুর্বল করে।
পরবর্তী করণীয়ঃ নাদিম হাসান জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।প্রতিশ্রুত পদক্ষেপ না এলে তারা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘দুদক ঘেরাও’ ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন।
মোঃমুজাহিদুল ইসলাম।




